ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এসব হামলাকে ‘ইরানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং এই সংকটময় মুহূর্তে ইরানের প্রতি পাকিস্তানের সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ইরানে যেই আক্রমণ করুক তা সহ্য করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার (২৩ জুন) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে ইরানে যে হামলা চালানো হচ্ছে, সেটি থেকে বড় ধরনের বিপর্যয়ে ঠেকাতে জোরাল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা কখনোই ইরানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কোনো হামলাকে সমর্থন করে না। ওই হামলা যে পক্ষ থেকেই আসুক না কেন, স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।
অন্যদিকে ইরানের ওপর ইসরায়েল ও মার্কিন হামলাকে ‘একেবারেই বিনা উসকানিতে আগ্রাসন’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে রাশিয়া প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিনা কারণে আগ্রাসন চলছে, এর কোনো ভিত্তি বা যুক্তি নেই।
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে বর্তমানে ক্রেমলিনে অবস্থান করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। রোববার রাশিয়া পৌঁছান তিনি। সোমবার (২৩ জুন) পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।
বৈঠকে আরাগচির উদ্দেশে পুতিন বলেন, মস্কোতে আজ আপনার উপস্থিতিতে আমি খুবই খুশি। আপনার উপস্থিতি এসব কঠিন বিষয়ে আলোচনা এবং আজকের পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায়, সেই উপায় খুঁজে বের করতে একসঙ্গে চিন্তা করার সুযোগ দেবে।
রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের খুব ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং রীতির লঙ্ঘন।
মন্তব্য করুন