কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জানুয়ারির শেষে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। খবর জিও নিউজের।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেম নতুন অদমশুমারি ও সীমানা পুননির্ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এটি প্রকাশ করা হতে পারে।

ইসিপি জানিয়েছে, তারা সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি আজ পর্যালোচনা করেছে। আজ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রিপোর্ট প্রকাশের পর অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেসব সমাধান করা হবে। এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

কমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৫৪ দিনের নির্বাচনী তপশিল শেষ হওয়ার পরে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, কাউন্সিল অব দ্য কমন ইন্টারেস্টে (সিসিআই) নতুন জনশুমারি অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সংসদীয় এলাকা পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্বাচনন মার্চ পর্যন্ত পেছাতে পারে। তিনি বলেন, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের পর ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

রানা সানাউল্লাহ বলেন, গত ৫ আগস্ট সিসিআইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ২০২৩ সালের ডিজিটাল জনশুমারির একটি প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে। যার ফলে চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে বা নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সেটি পেছাতে পারে। কেননা নির্বাচন কমিশনের জনশুমারি অনুসারে সংসদীয় সীমানা পুনঃনির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিসিআইয়ের বরাতে সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে নির্বাচনের আগে সীমানা পুনঃনির্ধারণ হলো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সাংবিধান অনুসারে, একটি জনশুমারির ভিত্তিতে দুটি নির্বাচন হতে পারে না। ফলে নির্বাচনের জন্য নতুন শুমারি প্রয়োজন। এজন্য নির্বাচন পেছাতে পারে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জোট শরিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মেয়াদ শেষের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, পাকিস্তানের সংসদের জাতীয় পরিষদ আগামী ৯ আগস্ট ভেঙে দেওয়া হবে।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্কুলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দরকার

টেস্টে রিশাদকে দেখতে চান মুশতাক

ছাত্রদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ছোট নামাজিদের মুখে হাসি

প্রবাসীদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে সুখবর দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চসিকের সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদুকের চার্জশিট

মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে স্পিনারদের যে পরামর্শ দিলেন মুশতাক

সাংবাদিক সুভাষ সিংহসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২৩ বছরের অপেক্ষা নারীর, কারাগার থেকে ফিরেই বিয়ে করলেন ফিলিস্তিনি

সেই পর্ন তারকা যুগল নিয়ে সামনে এলো আরও অজানা তথ্য

হাত-পায়ের রগ কাটা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

১০

বৃষ্টি-লঘুচাপ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১১

জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ খুন, আটক ৩

১২

জিন ছাড়াতে গিয়ে ধর্ষণ, অভিযোগ গৃহবধূর

১৩

পাঁচ লাখ কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইতালি, আবেদন শুরু কবে?

১৪

বিশ্ব ফুটবলে মরোক্কোর পরাশক্তি হয়ে ওঠার গল্প

১৫

ঝগড়া ছাড়াই সম্পর্ক শেষ করুন সুন্দর উপায়ে

১৬

সরাইলে তরুণ দের পক্ষ থেকে নতুন বই পেল মেধাবী শিক্ষার্থীরা

১৭

জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের বিনা খরচে পড়ার সুযোগ দেবে সরকার

১৮

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বিএনপির দর্শন : মির্জা ফখরুল

১৯

পুলিশে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন

২০
X