ফিলিস্তিনের প্রসিদ্ধ তিনটি অধিকার গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে রয়েছে—আল হক, ফিলিস্তিন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) এবং আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। খবর আলজাজিরা
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর এসব অধিকার গোষ্ঠীকে ‘বিশেষভাবে মনোনীত নাগরিক এবং অবরুদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়াই অধিকার গোষ্ঠীগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিস) ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে তদন্ত, গ্রেপ্তার ও আটকের জন্য সরাসরি যুক্ত হয়েছে। এজন্য তাদের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইসিসির সার্বভৌমত্বের অবজ্ঞা থেকে আমরা আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আমাদের মিত্রদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করে যাবে।
গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ট্রাম্প প্রশাসন আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এসব মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যাবতীয় অপরাধের নথি সরবরাহ করেছে। গাজার রামাল্লাহ ভিত্তিক আল হক অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই সংগঠন তেল আবিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে মামলার জন্য লড়ছে।
গাজা ভিত্তিক ফিলিস্তিন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইস এবং আল মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করছে এবং স্বাধীন সংস্থাগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পর এক বিবৃতিতে এই তিন মানবাধিকার সংগঠন কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলায় এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং কাপুরুষোচিত।
মন্তব্য করুন