কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন-পরবর্তী উত্তর কোরিয়ার পরিকল্পনা

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাতে থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জায়গায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়েছেন ভাইস প্রেসিডন্ট কমলা হ্যারিস। বিপরীতে গুলি খেয়েও মাটি কামড়ে লড়ে চলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে পাল্টে যেতে পারে বিশ্ব রাজনীতির বহু সমীকরণ।

বিশ্ব রাজনীতি পাল্টে যাওয়ার প্রেক্ষাপট হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মধ্যেই ট্রাম্প নির্বাচিত হলে চাঞ্চল্যকর এক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর এই দেশ বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের প্রধান শত্রু হিসেবে মনে করে থাকে। তবে ট্রাম্পকে তারা মনে করে একমাত্র ব্যতিক্রম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও পরমাণু আলোচনা শুরু করতে চায় উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া এক ঊর্ধ্বতন উত্তর কোরিয়ান কূটনীতিক এমন তথ্য দিয়েছেন। গত মাসে কিউবা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যান কূটনীতিক রি ইল কিউ। ২০১৬ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ কোনো সরকারি কর্মকর্তার উত্তর কোরিয়া থেকে পলায়নের ঘটনা।

এ কূটনীতিক জানান, রাশিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের সময় ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও কূটনৈতিক বোঝাপড়া শক্তিশালী করতে চায় পিয়ংইয়ং।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে মূলত নিজেদের অস্ত্র উৎপাদন কার্যক্রম থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নাম প্রত্যাহার এবং অর্থনৈতিক সাহায্য গ্রহণের মতো সুবিধা পেতে চায় উত্তর কোরিয়া। এমনটা জানান কূটনীতিক রি ইল কিউ। এর আগে এমন দাবি-দাওয়া নিয়ে ২০১৯ সালে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।

ট্রাম্প ও কিমের মধ্যকার সে সময়ের বৈঠক পণ্ড হওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ান প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক জ্ঞান, কূটনীতি এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অজ্ঞতাকে দায়ী করেন কূটনীতিক রি ইল কিউ। তবে এবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করবে বলে মনে করেন এ কূটনীতিক। তিনি মনে করছেন, পরবর্তী চার বছরের জন্য কিছু না দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞার জালে বেঁধে রাখাটা খুব একটা সহজ হবে না ট্রাম্পের জন্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাকসু নির্বাচন : ৬ দাবি ছাত্রদলের

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

১০

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

১১

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

১২

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

১৩

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

১৪

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

১৫

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১৬

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৭

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১৮

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৯

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

২০
X