নাইজারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুলান্ড। এ সময় গণতান্ত্রিক সরকার বহালে তাদের কঠিন বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সোমবার (৭ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র এমন বার্তা দিয়েছে। খবর বিবিসি।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী (ভারপ্রাপ্ত) ভিক্টোরিয়া নুলান্ড বলেন, তাদের মধ্যে খোলামেলাভাবে আলোচনা হয়েছে। এ সময় জান্তাকে জনগণের মতামত মেনে নিতে কঠিন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা, নাইজারের আকাশপথ বন্ধ
ওয়াশিংটন বলছে, কুটনৈতিক উপায়ে এখনো অভ্যুত্থানের সমাপ্তি ও প্রেসিডেন্ট বাজুমকে পুনর্বহালের সুযোগ রয়েছে। অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে সব ধরনের সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আলোচনা শেষে রাজধানী নিয়ামিতে নুলান্ড সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুই ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনা করেছেন। এ সময় তাদের বলা হয়েছে, যদি তারা জনগণের ইচ্ছা ও সাংবিধানিক ধারায় ফিরে যেতে চায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহযোগিতা করবে।
নুলান্ড জানান, তিনি বৈঠকে নতুন সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুয়াসসা সালাও বার্মোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে অভ্যুথানের মূল নেতা জেনারেল আবদোরাহমানে চিয়ানি বা প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে এর আগে আটক অবস্থায় বাজুমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ফোনালাপ হয়।
আরও পড়ুন : ওয়াগনারের সহায়তা চাইল নাইজারের জান্তা
এদিকে নাইজারের সামরিক শাসকরা রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের সহযোগিতা চাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ওয়াগনার অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত হলে তাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সলিফু মোদি নামে অভ্যুত্থানের একজন জেনারেল প্রতিবেশী দেশ মালি সফরে গিয়ে ওয়াগনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ইকোওয়াস বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আলোচনায় বসবে।
এর আগে, গত শনিবার (৫ আগস্ট) ইকোওয়াস জান্তাকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এ সময়ের মধ্যে জান্তাকে ক্ষমতা ছেড়ে গণতান্ত্রিভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর প্রতিবেশী দেশগুলোর সামরিক হস্তক্ষেপ নাইজারের হুমকির কারণে পরিণত হতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি।
নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা নিরাপত্তাহীনতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষমতা দখল করেছে।
মন্তব্য করুন