প্রতিবেশী দেশগুলোর সামরিক হস্তক্ষেপ নাইজারের হুমকির কারণে পরিণত হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ দেখাচ্ছে, বর্তমানে নাইজারের আকাশে কোনো বিমান নেই।
এই বিষয়ে নাইজারের সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। ইকোওয়াস নামক জোট যে কোনো সময় নাইজার আক্রমণ করতে পারে, তাই বিশেষ সতর্কতা হিসেবে দেশটির আকাশপথ বন্ধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাইজারের সামরিক শাসকরা রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের সহযোগিতা চায়। সলিফু মোদি নামে অভ্যুত্থানের একজন জেনারেল প্রতিবেশী দেশ মালি সফরে গিয়ে ভাগনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সহযোগিতা চান।
জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি।
নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা নিরাপত্তাহীনতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষমতা দখল করেছে।
মন্তব্য করুন