কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইয়েমেনের ছোড়া মিসাইল ঠেকাতে আর্থিক চাপে মার্কিনিরা

থাড আকাশ প্রতিরক্ষ ব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত
থাড আকাশ প্রতিরক্ষ ব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

দুর্বল দেশ ভেবে এক দশক আগে ইয়েমেনে হামলা করে বসেছিল সৌদি আরব। সঙ্গী হয়েছিল সৌদির মিত্ররা। কিন্তু মিত্র আমেরিকার অস্ত্র নিয়েও ইয়েমেনে জয়ের দেখা পায়নি রিয়াদ। দেশটির বিদ্রোহীদের সঙ্গে পেরে না উঠে শেষ পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে পালাতে হয় তরুণ তুর্কি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাহিনীকে। এবার সেই ইয়েমেনকে কবরস্থান বানাতে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোটি কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসছে না।

সাগরে বিমানবাহী রণতরী নামিয়ে ইয়েমেনে যুদ্ধবিমান ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। পাল্টা জবাব ছুড়ে দিচ্ছে ইয়েমেনের বিদ্রোহীরাও। রোববার (৩০ মার্চ) তেমনই এক হামলা চালায় ইয়েমেন।

এ দিন এক জোড়া মিসাইল দিয়ে ইসরায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে ওঠে ইসরায়েলি অ্যারো মিসাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের থাড মিসাইল।

গেল অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে একটি থাড ব্যাটারি পৌঁছায়। কয়েক মাসে আগেই ইরানের ছোড়া মিসাইলে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় ইসরায়েল। দেশটির নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ইরানের ছোড়া অত্যাধুনিক মিসাইল ঠেকাতে ব্যর্থ হয় সেটি। এরপর ইসরায়েলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তৎকালীন বাইডেন প্রশাসন। থাড অনেকটা ইসরায়েলের অ্যারো সিস্টেমের মতোই। তবে এর নকশা ও কাজের ধরন ভিন্ন।

উদ্দেশ্য একই হলেও এই দুই ব্যবস্থার কাজের ধরন ও ব্যয়েও রয়েছে বিস্তর ফারাক। ইসরায়েলি অ্যারো সিস্টেম সরাসরি টার্গেটে আঘাত হানে না। তবে থাড সিস্টেম সরাসরি টার্গেটে আঘাত হেনে সেটি ধ্বংস করে দেয়। উভয় ব্যবস্থাই প্রতি ঘণ্টায় ৯-১০ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৌঁছতে পারে। থাড অপেক্ষাকৃত হালকা হওয়ায় এটিকে কার্গো প্লেনে করে যুদ্ধক্ষেত্রে নেওয়া যায়। কিন্তু অ্যারো সিস্টেম ফিক্সড থাকে। অথবা ট্রাকে করে নিয়ে যেতে হয়।

সবচেয়ে বড় ফারাকের জায়গাটা হচ্ছে খরচের ক্ষেত্রে। অ্যারো ইন্টারসেপ্টর দিয়ে শত্রুর মিসাইল ভূপাতিত করতে খরচ হয় ২০-৩০ লাখ ডলার। অথচ থাড সিস্টেমে থাকা প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত। অর্থাৎ থাড সিস্টেম দিয়ে একটি শত্রু টার্গেট ভূপাতিত করতে বিপুল খরচ করতে হয়।

এত দামি প্রযুক্তি হওয়ায় কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো দেশই থাড সিস্টেম কিনতে পেরেছে। এমনকি ইউরোপের অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার জার্মানিও থাড সিস্টেম কেনার সাহস পাচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে তারা ইসরায়েলের অ্যারো থ্রি সিস্টেম বেছে নিয়েছে। তাই অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র ইসরায়েলকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করছে। এভাবেও যে একটি দেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করা যায় তা ইয়েমেন করে দেখিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

৭ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না এসএসসি ফলপ্রার্থী রিয়ামনির

আট মামলার আসামিকে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

রাসিকের ৮০৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

চাল না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : আব্দুল হালিম

গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

১০

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

১১

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

১২

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

১৩

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

১৪

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

১৫

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

১৬

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

১৭

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১৮

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১৯

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

২০
X