দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের সাময়িক বিরতি চলছে। কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে এ যুদ্ধ বিরতি গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রথমে চারদিন ও পরে দুদিন এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। তবে এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে যা করার করছি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, তার দেশ গাজার মানুষের জন্য যথাসাধ্য ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে। গাজার জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিশ্চিতে কাজ করেছে তারা।
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন গাজার আমাদের ফোকাস হলো গাজার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো। এজন্য আমাদের যা করার করব। আমরা আরও বন্দিকে বের করে আনতে চাই এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব।
এদিকে গাজা নিয়ে নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। তারা বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে মৃত্যুর চেয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানান, অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বোমার আঘাতের চেয়েও রোগাক্রান্ত হয়ে বেশি মৃত্যুর দৃশ্য দেখতে হবে।
ডব্লিউএইচও-এর এ মুখপাত্র উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের পতনকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আল-শিফা হাসাপাতলের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি হয়েছে তা দেখতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা মঙ্গলবার গাজা পরিদর্শনের এ আমন্ত্রণ জানান।
মঙ্গলবার বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার মানদণ্ড মেনে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি দেখার জন্য আমরা তাকে গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানাই।
এর আগে হঠাৎ ইসরায়েল সফরে যান মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও দেখা করেছেন। হামাসের হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে থাকা দেশটিতে হঠাৎ করে তার এই সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
মন্তব্য করুন