কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে কোকেন উদ্ধার করা হয়। এবার সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে পাওয়া এ মাদক বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার গ্রহণ করেন কিনা, সে প্রশ্নও তুলেন ট্রাম্প।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে যে কোকেন পাওয়া গেল, সেটা কারা ব্যবহার করে? হান্টার ও জো বাইডেন ছাড়া অন্য কেউ এ কোকেন ব্যবহার করে, সেটা কি কেউ বিশ্বাস করবে?’
হোয়াইট হাউস থেকে গত রোববার এক ধরনের সাদা পাউডার উদ্ধার করা হয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওয়াশিংটনের ফায়ার সার্ভিস জানায়, এগুলো আসলে ‘কোকেন’।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত রোববার রাতে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং থেকে সাদা পাউডারসদৃশ উপাদান খুঁজে পায় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস। এরপরই হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্স সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকেন হোয়াইট হাউসের এক্সিকিউটিভ ম্যানশনে। এই ম্যানশনের পাশেই ওয়েস্ট উইং। এখানে শত শত মানুষ নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। ওভাল অফিস, মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ, সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ও প্রেসিডেন্টের কর্মীদের কার্যালয় এই জায়গায় অবস্থিত।
তবে হোয়াইট হাউসে এতকিছু হয়ে গেলেও সেখানে ছিলেন না প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাউডার শনাক্তের দুদিন আগে শুক্রবার ক্যাম্প ডেভিডে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে যান তিনি। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ফেরেন বাইডেন।
একই পোস্টে বাইডেনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘কয়েকদিন পরেই ভুয়া গণমাধ্যম দাবি করবে, ওইটা কোকেন নয়। তারা বলবে ওটা আসলে অ্যাসপিরিনের পাউডার। তারপর এই কেলেঙ্কারির ঘটনা হারিয়ে যাবে।’
কোকেন উদ্ধার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভবনের প্রেস সচিব ক্যারিন জাঁ-পিয়ের বলেন, হোয়াইট হাউসের ওই এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে। সারা দিনে অনেকেই সেখানে চলাফেরা করেন। আর এমন একটি জায়গা থেকেই এ কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হোয়াইট হাউস অব্দি কীভাবে এলো, তা জানতে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন