জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবরণের এই আগস্টে যখন বেদনাবিধুর হৃদয়ে লিখতে বসেছি, তখন পত্রিকার পাতায় ছাপানো বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরণ আইয়ার বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে। আবার অন্য পাতায় লেখা, ‘জঙ্গি সংগঠন বিবেচনায় জামা’আতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।’
এ দুটো বিপরীত বিষয়কে বিবেচনায় রেখে পষ্ট করেই দেখতে পাই কী করে এই বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ওপরের খবরে প্রথমত একটি বিষয় ইতিবাচকভাবেই দৃশ্যমান, তা হলো, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নয়ন বিপুলভাবে অগ্রসরমাণ এবং যা বিশ্বের সব দেশই স্বীকার করছে, এমনকি বিশ্বের প্রভাবশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও মানছে। পাশাপাশি অস্বস্তিতে দৃশ্যমান, বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে উগ্র কর্মকাণ্ড অনেকের চিন্তার মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। তাদের কারণে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ যথেষ্টভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মুখে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন একটি উদারবাদী রাষ্ট্র, যেখানে মানুষের জন্য না থাকবে অর্থনৈতিক বৈষম্য, না থাকবে ধর্মীয় পরিচয়ে সংঘাত। এর বাস্তবায়নে তিনি স্বল্প সময়েই জনতাকে ডাক দিয়েছিলেন ‘সবুজ বিল্পব’ সফল করার। তিনি জানতেন কৃষিনির্ভর এ দেশটিতে ফসল ফলানোয় আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও বিকাশই মানুষকে স্বনির্ভর করতে সক্ষম। তিনি চেয়েছিলেন তার এ কর্মকাণ্ডে উচ্চশিক্ষিত প্রজন্ম। সে লক্ষ্যেই মেধাবী তরুণদের স্কলারশিপ দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন দল ধরে ধরে। তার আশা ছিল, তারা শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে কৃষি হতে শুরু করে বিজ্ঞাননির্ভর প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি সেই তরুণদের সেবা হতে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশে তাদের প্রভাবকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি চিন্তা করে প্রশাসনের সব জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে রাখা হয়। এ বিষয়টি একটি অন্যতম কারণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ আধুনিক নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘযাত্রায় পিছিয়ে পড়ে।
একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে উদারবাদী ধারায় এগিয়ে নিতে যেখানে ধর্মের নামে কেউ গোঁড়ামি করে অন্য ধর্মকে খাটো করা বা তাদের কষ্ট দিতে পদক্ষেপ না নেয়। সে জন্যই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আবার ইসলামিক দেশগুলোও যেন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকে, সে লক্ষ্যেই ইসলামিক সংস্থা ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। যুক্ত হয়েছিলেন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে, যেখান থেকে তিনি বাংলাদেশকে সে সময়ে চলমান ‘ঠান্ডা লড়াই’ থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন এমন করে যেন, বাংলাদেশ নিজের উন্নয়নে নজর রাখতে পারে।
কিন্তু কী ঘটল আমাদের দেশে? ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর নেমে এলো স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায়। ক্ষমতালোভী স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া বন্দুকের নলে করলেন ক্ষমতা দখল। নিজেকে বানালেন সেনাপ্রধান। অবৈধ উপায়ে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি থাকা নিয়ে দুর্বৃত্তের মতো হ্যাঁ-না ভোট। সামরিক শাসন নিয়ন্ত্রিত ঘরোয়া রাজনীতি, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতি, উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবৃক্ষ রোপণ, মদ-জুয়ার লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি। এসব বাস্তবায়নে ইচ্ছেমতো ফরমান, আদেশ-অধ্যাদেশ জারি। তথাকথিত ক্যুর অভিযোগে শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক হত্যা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ রাখা। জেলহত্যা বিচারের উদ্যোগ না নেওয়া, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সুরক্ষা ও হত্যাকারীদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করার মতো কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা।
জেনারেল জিয়া বাতিল করলেন দালাল আইন। জন্ম দিলেন যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন। দালাল আইনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী দালালদের বিচারের জন্য সারা দেশে ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। কিন্তু জেনারেল জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন। একই সঙ্গে ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি দেশত্যাগী পাকিস্তানি নাগরিকদের নাগরিকত্ব ফেরত পাওয়ার সুযোগ করে দেন। শুধু কি এসব কাজ? ১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ জিয়াউর রহমান এক সামরিক ফরমান বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ঘোষণা করেন। ১৯৭৬ সালের ৩ মে জিয়াউর রহমান এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধানের ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির নষ্টপথ উন্মোচন করেন। ১৯৭৭ অধ্যাদেশ জারি করে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে সংবিধানের কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়। যার ফলে স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, পিডিপি, নেজামে ইসলামসহ অপরাপর ধর্মভিত্তিক উগ্র সাম্প্রদায়িক দলগুলো তৎপরতা শুরু করে। পুনর্বাসিত হয় যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যে সামরিক নেতৃত্ব ক্ষমতা দখল করল, সে নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌলিক ভিত্তি ধ্বংস করে দেশটিকে একটি ইসলামিক মৌলবাদী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার পথ সুগম করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিপরীতে এটিই সর্বোচ্চ পরাজয়ের চিত্র বাংলাদেশের জন্য। আর এর অন্যতম কুশীলব হলেন এখনকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার রোপিত বিষবৃক্ষ আজ ফুলেফেঁপে মস্ত। এই ভয়াবহ বিষবাষ্পের প্রমাণ কি শুধু আমাদের দেশে, আমাদের রাজপথে? এদের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতেও বলা হচ্ছে। এ গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদেও চিহ্নিত। ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ১১৫তম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে উত্থাপিত এইচআরএস ১১৫৬ নম্বর রেফারেন্স অনুযায়ী বাংলাদেশে সক্রিয় ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রদান করা হিসাবকে বিবেচনায় নিয়ে উল্লেখ করা হয়, বিগত নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেছিল, যার ফলে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৯৫টি হিন্দু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৫৮৫টি দোকানে হামলা বা লুটপাট হয়েছে এবং ১৬৯টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে জড়িত; যেখানে ধর্মীয় চরমপন্থিরা বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং আহমদী মুসলমানদেরও আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে চরমপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র থেকে সর্বগ্রাসী ধর্মতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য একটি আন্দোলন সংগঠিত করছে।
একই সঙ্গে বলা হয়, অন্যদিকে ন্যাটোর মিত্র ফিল্ড কমান্ডের সাবেক জেনারেল জন ডব্লিউ নিকলসন বাংলাদেশে আলকায়দার তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০১৮ সালের রেজল্যুশনটির পরের বছর ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ১৬তম কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনের এইচআরএস ১৬০ নম্বর অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় সক্রিয় ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা। সেখানে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা আলকায়দা এবং তালেবানের সঙ্গে যুক্ত। জামায়াতে ইসলামী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ধর্মভিত্তিক উগ্রবাদী দলগুলো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের জন্য তাৎক্ষণিক ও চলমান হুমকি, যা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত সহিংসতার মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে। একই বছরে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের মাটিতে ওইসব ধর্মভিত্তিক চরমপন্থি দলগুলোকে সহায়তা কে দিচ্ছে এখন? দিচ্ছে জেনারেল জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণকারী তারই পুত্র তারেক রহমান। তার সম্পর্কে গত ২৫ জুন ২০২৩ তারিখে ওয়াশিংটন মেইলের সম্পাদকীয় বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ভাষায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতার উদ্বেগজনক অতীত ভারতের নিরাপত্তা অঙ্গনে শোকের ছায়া ফেলেছে’—এমন শিরোনামে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তার বিপুল অর্থায়নে তদবির কার্যক্রমের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যাই হোক, তার হাই-প্রোফাইল লবিং প্রচেষ্টার আড়ালে একটি গভীর উদ্বেগজনক সত্য লুকিয়ে রয়েছে—তারেক রহমান একজন দণ্ডিত সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণিত। ২০০৪ সালে ঢাকায় একটি বিধ্বংসী গ্রেনেড হামলায় রহমানের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা উন্মোচন করে এবং ভারতের সীমান্তজুড়ে বিদ্রোহী কার্যকলাপে তার জড়িত থাকার অভিযোগের ওপর আলোকপাত করে।’
সুতরাং যেখান থেকে এ লেখা শুরু, সেখানে ফিরে গিয়ে বলা যায়, যদি বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের পর আরও ২০ বছর ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে থাকত, তবে বাংলাদেশ এগোত উদারবাদী পথে। সফল হতো কৃষিতে সবুজ বিপ্লব। অনেক আগেই স্বনির্ভর হতো আমাদের দেশ। বড় বেদনায় বলি, তাহলে জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা লালসার শিকার হয়ে বাংলাদেশ হারাত না সূর্যসন্তানদের। বাংলাদেশের মাটিতে সুযোগ পেত না ধর্মীয় উগ্রচিন্তার মানুষ খুনের রাজনীতি বা সেই ধারার প্রচার। এসব ঘটনা পরম্পরায় আজ অসংখ্য হাহাকার বুকের ভেতর খাচ্ছে ঘূর্ণিপাক। এই প্রবল বেদনায় দাঁড়িয়েই বলি, বঙ্গবন্ধুর হাতে নেতৃত্ব থাকলে বাংলাদেশ এগোত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক এবং উদারবাদী রাষ্ট্রের পথে। সেই পথ থেকে বিচ্যুত বাংলাদেশ এখন বহুদূরে। সে লড়ছে এক পঙ্কিল স্রোতে। সে লড়াইয়ে জিতে বাংলাদেশ ফিরে পেতে চায় মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ ছিল, যে শপথ ছিল, এ দেশ হবে সব মানুষের এক সুখের ঠিকানা—সেই সব কিছু।
লেখক : কবি, কথাশিল্পী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং প্রেস এক্সপ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক
মন্তব্য করুন