সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৪২ এএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডাক দিয়ে যাই

বিএনপির জন্য পিটার হাসের ‘শিক্ষা’

বিএনপির জন্য পিটার হাসের ‘শিক্ষা’

মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে যা কল্পনা করে, তা সবসময় সঠিক হয় না। এই যেমন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের কথাই ধরা যাক। আমি ভেবেছিলাম, বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর তার ব্যস্ততা বাড়বে। তিনি ছুটে যাবেন নির্বাচন কমিশনে। মার্কিন দূতাবাসে ডেকে নেবেন রাজনৈতিক নেতাদের। ব্যস্ত সময় কাটাবেন। কিন্তু কী আশ্চর্য, পিটার হাস গেলেন ছুটিতে। কতদিনের ছুটি, কবে ফিরবেন কেউ ঠিকঠাকমতো বলতে পারে না। অনুমান করা যায়, ২৩ নভেম্বর থ্যাঙ্কসগিভিং ডে পালন করে তিনি দেশে ফিরবেন। ততদিনে পদ্মা মেঘনায় অনেক জল গড়াবে। অথচ তপশিল ঘোষণার আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। তপশিল ঘোষণার দিন সকালবেলাই তিনি সচিবালয়ে ছুটে যান। ডোনাল্ড লুর চিঠি পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের হাতে। ওই চিঠিতে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর দুদিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত দেখা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে। ওই সাক্ষাতের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত শর্তহীন সংলাপ ইস্যু সামনে এনেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের কাছে সংলাপের ট্রিজার অবমুক্ত করেন পিটার হাস। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের মরচেধরা নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও পরীবাগে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বিরামহীনভাবে নাক গলানো এ রাষ্ট্রদূতের তৎপরতায় জনগণের দৃষ্টি ছিল। বিএনপির নেতারাও ছিলেন আহ্লাদে আটখানা। পিটার হাসের ‘ম্যাজিক’ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন আমাদের সুশীল সমাজ। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ তো কিছুদিন আগে থেকেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ‘অবতার’ মানছিলেন। কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাখঢাক ছাড়াই বলেছিলেন, ‘বিদেশিদের তৎপরতা আমাদের সাহস জোগায়।’ বিএনপি নেতারা তো প্রকাশ্যেই বলতেন, পিটার ডি হাস যখন আছেন তখন আমাদের চিন্তা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন তপশিল ঘোষণা করবে আর মার্কিন রাষ্ট্রদূত তা চুপচাপ বসে দেখবেন, এটা তো হতেই পারে না। তপশিলের পরেই দেখা যাবে অবতারের অগ্নিরূপ। নিষেধাজ্ঞা আসবে, অর্থনৈতিক অবরোধ আসবে, মার্কিন হুংকারে সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে। বিএনপি সবসময় বলেছে, ২০১৪-এর মতো নির্বাচন এবার আর যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে না। ডোনাল্ড লুর দরকার নেই, হাস মহাশয়ই আওয়ামী লীগের ঘাড় মটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ আশায় বিএনপি দফায় দফায় অবরোধ ডাকছিল। অবরোধ ডেকে টোকাই আর ছিঁচকে মাস্তানদের পেট্রোল বোমা মারার ঠিকাদারি দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। কাউকে কিছু করতে হবে না, যা করার করবেন ‘অবতার’। নির্বাচন কমিশন যখন তপশিল ঘোষণা করলেন, তখন বিএনপি নেতারা নিজেদের অজান্তেই মুচকি হেসেছেন। ভাবখানা এমন, এবার দেখবে অবতারের কারিশমা। কিন্তু কীসের কী, অবতার গেলেন ছুটিতে। ছুটি নিয়েও চলছে লুকোচুরি। এ নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। একজন ব্যক্তি কিংবা একজন রাষ্ট্রদূত ছুটিতে যেতেই পারেন। তারও বিশ্রাম প্রয়োজন, দরকার একটু বিনোদন। কিন্তু তাই বলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছুটি?

নির্বাচন একটি দেশের স্বাভাবিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সংবিধান এবং আইনের বিধিবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন প্রতিবার রীতিমতো যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। এবারের ‘যুদ্ধ’ প্রকাশ্য রূপ লাভ করে, গত বছর ১৫ মার্চের পর থেকে। আরও সহজভাবে বললে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্র। তাই সব দেশেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিশেষ মর্যাদা পান। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নের পথে হাঁটা দেশগুলো নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ দেশে যারাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হয়ে এসেছেন, তারাই পেয়েছেন বিশেষ সম্মান ও সমীহ। তাদের অভিপ্রায়কেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের অনেকেই এ গুরুত্ব ও সম্মানকে মর্যাদা দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়েছেন। দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। তাদের মধ্যে ২০১৫ থেকে ’১৮ সালে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। বার্নিকাট রিকশায় চড়েছেন, ফুচকা খেয়েছেন, শাড়ি পরে বাঙালি সংস্কৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। তাই বলে এমন নয় তিনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি। গণতন্ত্র, মানবাধিকার তার এজেন্ডা থেকে বাদ গেছে। বার্নিকাটের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় হয়েছিল ২০১৬ সালে। আমার প্রতিষ্ঠান মার্কিন দূতাবাসের জন্য একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল। মার্কিন ভিসা পেতে অনেকে দালাল ধরে, তথ্য জালিয়াতি করে, এটা বন্ধের জন্য একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন দূতাবাস। বার্নিকাট নিজে বিজ্ঞাপন নির্মাণের তদারকি করেছিলেন। এ সময় তার সাংস্কৃতিক জ্ঞানে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমাদের বানানো বিজ্ঞাপন ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। ২০১৬ সালে নির্মিত ওই বিজ্ঞাপনটি এখনো দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেখে গর্বিত হই বৈকি। বিজ্ঞাপন নির্মাণের পর তিনি এ কাজে জড়িত আমাদের পুরো টিমকে আমেরিকান ক্লাবে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আমি তাকে আড়ংয়ের ছোট্ট একটা রিকশা আর ‘এক তারা’ দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি নিয়ে তার সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘এ দেশে আমি মুগ্ধ। আমি এ দেশ থেকে অনেক কিছু শিখতে এসেছি।’ বার্নিকাট ছিলেন বিনয়ী, স্নিগ্ধ। যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শাড়ি পরে।

আরেকজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সখ্য হয়েছিল, তিনি হলেন ড্যান মজিনা। তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১১ সালের নভেম্বরের শেষদিকে। সে সময় আমরা পরিপ্রেক্ষিতের উদ্যোগে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে একটা নিরীক্ষামূলক প্রকল্প করেছিলাম। তাদের নিজস্ব কৃষ্টির স্মারক চিহ্নগুলোকে আমরা মূলধারায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিই। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ধানমন্ডিতেই পরিপ্রেক্ষিত কার্যালয়ে আমরা পাহাড়ি জনপদের মানুষদের তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী করি। একবারেই ঘরোয়া উদ্যোগ। অপ্রত্যাশিতভাবে প্রদর্শনী দেখতে আসেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। তিনি অনুরোধ করেন, তার বাসভবনে এরকম একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করতে। ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে এসেছিলেন ড্যান মজিনা। আন্তরিক আর স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ। ওইদিন তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমি তাকে সমুচা ও শিঙাড়ার পার্থক্য বোঝাতে গলদগর্ম হয়েছিলাম। সে কথা মনে হলে এখনো হাসি পায়। বার্নিকাট কিংবা ড্যান মজিনাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিছু বিতর্কেরও হয়তো জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু কেউই কূটনীতিক সীমার বাইরে যাননি। তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপরতা কোনোভাবেই পিটার হাসের আগ্রাসী দৌড়ঝাঁপের ধারেকাছেও নয়। ২০০৯-এর পর যারাই বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এসেছেন, তারা সবাই কমবেশি বন্ধুত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পিটার হাস এসেই যেন ভিন্ন বার্তা দিতে শুরু করেন। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি যেভাবে মাথা ঘামিয়েছেন, তা বিস্ময়কর। তার কিছু আচরণ অনেকেই পক্ষপাতদুষ্ট মনে করে। যেমন ‘মায়ের ডাক’ বলে বিতর্কিত একটি সংগঠনের নেতার বাসায় যাওয়া। কিংবা গুম নিয়ে একটি বিতর্কিত প্রামাণ্যচিত্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুকে স্থান দেওয়া কতটা যৌক্তিক ছিল, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। গত বছর ৭ ডিসেম্বর বিএনপি অফিসের সামনের ঘটনার পর তার চটজলদি প্রতিক্রিয়া আদৌ জরুরি ছিল কি না, তা নিশ্চয়ই একদিন তিনিই মূল্যায়ন করবেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গিয়ে গণমাধ্যম সম্পর্কে তার বক্তব্য হুমকি কি না, তা নিশ্চয়ই মিস্টার হাস বিবেচনা করবেন। কিন্তু এসব তাকে যে বিতর্কিত করেছে, তা বলাইবাহুল্য। যে কোনো দেশে একজন রাষ্ট্রদূতের কিছু নির্দিষ্ট এজেন্ডা থাকে। কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নের তাগিদ থাকে। নিশ্চয়ই পিটার হাসেরও তেমন কোনো এজেন্ডা আছে। কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্যই তিনি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গত দেড় বছরে তার লক্ষ্য অর্জনের কৌশল ছিল আক্রমণাত্মক ও বিতর্কিত। বন্ধুত্ব নয়, তিনি যেন প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। পিটার ডি হাসের তৎপরতা অনেকের কাছেই ১৯৭৫ সালে দায়িত্ব পালন করা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজেন বুস্টারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মিস্টার হাস বাংলাদেশের বিভক্ত রাজনীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করেই এসেছেন। কিন্তু তিনি বোধহয় এ দেশের সংস্কৃতি, মানুষের মন-মানসিকতা কিংবা আবেগ সম্পর্কে ভালো হোমওয়ার্ক করেননি। বাংলাদেশ জোয়ার-ভাটার দেশ। এ দেশের মানুষ খুবই আবেগী। ভালোবেসে কিছু চাইলে বাঙালি নিজের জীবন দিয়ে হলেও অতিথির আবদার পূরণ করে। কিন্তু কেউ প্রভুত্ব করতে চাইলে, জীবন দিয়ে হলেও প্রতিরোধ করে। এই সহজ, সরল উপলব্ধিটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হয়েছিল কি না, আমি জানি না। কিন্তু আমি মনে করি, এরকম একজন মেধাবী উচ্চশিক্ষিত কূটনীতিক সবকিছু আরও শালীন ও শিষ্টাচার সম্মতভাবে করতে পারতেন। সবাইকে আস্থায় নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বার্তা বাহক হতে পারতেন পিটার হাস। তবে তিনি একটি কাজ করেছেন। তার তৎপরতার কারণে বিএনপির প্রত্যাশার বেলুন ফুলে উঠেছিল। বিএনপি তাকে দেবদূত ভাবতে শুরু করেছিল। নির্বাচনের তপশিলের পরদিন ছুটিতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে দুটি শিক্ষা দিলেন। প্রথমত, অন্যের ভরসায় কোনো লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। বিএনপি ভেবেছিল, তারা নির্বাচনে যাব না বলে বসে থাকলেই সরকারের পতন হবে। তাদের কিছুই করতে হবে না, যা করার যুক্তরাষ্ট্র করবে। অনেকটা এমন, পরীক্ষায় পড়াশোনা না করলেও চলবে। ভগবানের কৃপায় আপনাআপনি সাফল্য আসবে। কিংবা ঈশ্বর অন্ন জোগানদাতা, আমরা ঘুমিয়ে থাকব, ঈশ্বর আমাদের মুখে খাবার তুলে দেবেন। এ ভাবনাতেই বিএনপিকে আচ্ছন্ন করেছিলেন পিটার হাস। আসলে এভাবে সাফল্য আসে না। অন্যের ওপর নির্ভর করে আন্দোলন করলে নিজেদেরই অস্তিত্বের সংকট হয়। সেটা তপশিল ঘোষণার পর বিএনপির হয়েছে।

দ্বিতীয় শিক্ষা হলো, ব্যর্থ হলে বিশ্রামে যেতে হয়। ছুটি নিতে হয়। দেহ ও মনের ক্লান্তি দূর করে ঠান্ডা মাথায় নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হয়। যেমন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে নিশ্চয়ই নতুন পরিকল্পনা সাজাবেন। বিএনপি যদি সত্যি সত্যি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের প্রভু মানেন, তাহলে নিশ্চয়ই তার কাছ থেকে শিক্ষা নেবে। আন্দোলন ছুটিতে পাঠাবে। কারণ এসব অবরোধ, হরতাল এখন জংধরা অস্ত্র। এসব দিয়ে কোনো কাজ হয় না। মানুষ ভয়কে জয় করে কাজের জন্য বেরিয়ে পড়েছে। অবরোধে রাস্তাঘাটে রীতিমতো যানজট। এ ধরনের কর্মসূচি বিএনপিকে একটি হাস্যকর, খেলো রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে। এভাবে ৪৮ দিন কর্মসূচি দিলে তা নিশ্চিত ২০১৫ সালে অবরোধের মতোই হবে। তার চেয়ে বিএনপির উচিত আন্দোলন থেকে কয়েক দিনের ছুটি নেওয়া। আর টিকে থাকতে চাইলে কৌশল পরিবর্তন করে জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। পিটার হাসের কাছ থেকে এ শিক্ষাটা কিন্তু বিএনপি দিব্যি নিতে পারে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : [email protected]

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

০২ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

টিকাটুলিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করতে যান ছাত্রদল নেতা, অতঃপর...

ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

১০

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

১১

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

১২

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

১৩

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

১৪

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১৫

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১৬

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১৭

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৮

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১৯

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

২০
X