টাঙ্গাইলে সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একপাশে সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ) পানির চাপে ধসে পড়েছে। এতে করে পশ্চিম টাঙ্গাইলের কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চারাবাড়ি তোরাফগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গতকাল বুধবার ভোরে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুটি দিয়ে সদর উপজেলার চলাঞ্চলে হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী, মাহমুদনগর এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার একটি অংশের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় পশ্চিম পাড়ে টাঙ্গাইল শহরে আসার জন্য বিভিন্ন যানবাহনে শত শত মানুষ আটকা পড়েছেন। এ সড়ক ছাড়া তাদের চলাচলের বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় আব্দুর রশিদ বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর থেকে এ নিয়ে তিনবার অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে গেছে। এই সেতুর নিচে শুষ্ক মৌসুমে বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে বর্ষায় পানির তোরে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক বারবার ভেঙে যায়। আর স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা চাই এর একটি স্থায়ী সমাধান করা হোক।
বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, খবর পেয়ে ভোরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখা গেছে, সেতুর পশ্চিম পাশে শত শত মানুষ শহরের আসার জন্য সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। পশ্চিম টাঙ্গাইলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুত সেতুর কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মিয়া বলেন, ভোরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাইবো) সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো সেতু অথবা বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা নেই, তাই বিষয়টি সবার সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন