বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলার ৫৩তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধুমেলার এবারের আসর বসেছিল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ দেশের বিশিষ্ট বাউল শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো উপস্থিত ছিলেন। সাধুমেলায় বাউল শিল্পীদের মধ্যে সুবর্ণা বাউলের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘না জানি কোন সময়, কোন দশা ঘটে আমার’, কৃষ্ণ বাউলের কণ্ঠে ‘পাড়ে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়’, রিতা মণ্ডলের কণ্ঠে ‘বিনা কাজে ধন উপার্জন কে করতে পারে’, শাহীন বাউলের কণ্ঠে ‘বাসুলের দিন সত্য মানো, ডাকো তারে মওলা বলে’ এবং সুবর্ণা হামজার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’।
বাউল আয়নাল হক পরিবেশন করেন ‘বড় সংকটে পড়িয়া দয়াল’, মিতুল বাউল ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’, বাউল এম আর মানিকের কণ্ঠে ‘লন্ডনে রূপের বাতি জ্বলছে রে সদয়’, পিউ বাউলের কণ্ঠে ‘আঁধার ঘরে জ্বলেছে বাতি’, ফারুক আউলের কণ্ঠে ‘মেঘের বাড়ি মুখের কথায় কি মিলে’ এবং বাউল ফারজানা ইভার কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘ধন্য আশেকিজনা এ দিন দুনিয়ায়’। এ ছাড়া ছিল ক্ষ্যাপা বিদ্যুৎ সরকারের কণ্ঠে গান।
জেলা থেকে আগত ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীরা বাউল গান পরিবেশন করেন। কিরন চন্দ্র রায় (মানিকগঞ্জ), শফি মণ্ডল (কুষ্টিয়া), ফকির সাহাবুদ্দিন (চট্টগ্রাম), চন্দনা মজুমদার (কুষ্টিয়া), দিল আফরোজ রেবা (ঝিনাইদহ) এবং আরিফ বাউলের (ফরিদপুর) পরিবেশনা ছিল।
এ ছাড়া পরিবেশিত হয় দলীয় সংগীত। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন বাউল রুমা আক্তার, বাউল জাকারিয়া শেখ, আউল লিনা খাতুন, সেলিম বাউল, সজিব বাউল মেহবুব সুফিয়ান, বাউল নুরুল ইসলাম শেখ, বাউল সলেমান শেখ, বাউল রিতা মণ্ডল, বাউল শাহেদ আলী, রনি বাউল, সেন্টু বাউল, বাউল আবু বক্কর সিদ্দিক, খাইরুল বাউল, বাউল মাহমুদা, শিফা বাউল, মাহাবুব বাউল, তানিয়া বাউল, মিজান বাউল, বাউল কন্যা চৌধুরী, বাউল ওমর আলি, উপমা বাউল, ক্ষ্যাপা মিরাজ বাউল, ফারুক বাউল, বাউল মিনা পাগলা, বাউল এলিজা পুতুল, বাউল নয়ন সাধু, পলি বাউল, ফারুক বাউল এবং বাউল আফসানা ইমু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন