জান্নাতুল ফেরদাউস অদিতি’র গল্পসহ চার বাংলাদেশি শিশুর গল্প সংকলিত হয়েছে টরেন্টো অন কানাডার দ্য জাম্বলড আপ স্টোরিজ বইয়ে। শিশু লেখকদের লেখা ও শিল্পের একটি সংকলন নিয়ে ‘দ্য জাম্বলড আপ স্টোরিজ’-এর ৩৬০° গল্পের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে টরন্টোর সেন্টেনিয়াল কলেজ ইভেন্ট সেন্টারের প্রগ্রেস ক্যাম্পাসের স্কুল অব হসপিটালিটি, ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটির অষ্টম তলায়।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টায় (কানাডার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা)। এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এলাইনা এলিজাবেথ। আয়োজনে ছিলেন মায়া এমিয়াও, মিচেল বাসবি, এনথনি লু। কিনোট পেপার পড়েন ৩৬০° অ্যাম্বাসাডর মায়া এমিয়াও।
মায়া এমিয়াও বলেন, শিশুদের তার ভাবনার জগতকে সম্প্রসারিত করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।
টরেন্টোর তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের গল্প যাচাই-বাছাই করে ১৮টি গল্প নির্বাচিত করা হয় বইয়ে প্রকাশের জন্য। বাংলাদেশসহ আটটি দেশের ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের গল্প এই বইয়ে সংকলিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের চার শিশুর গল্প এখানে জায়গা করে নিয়েছে।
এছাড়া ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, চীন, ইটালি ও ঘানার শিশুদের গল্পও সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে। বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদাউস অদিতি ছাড়াও জারিফ জাকোয়ান মুনিফ, অপরাজিতা বড়ুয়া ও সায়রা হোসাইন আনাইয়ার গল্পও এই বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদাউস অদিতি বলেন, ৩৬০° থেকে টরেন্টোর তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করার জন্য ১৮ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। আমাদের গল্প লেখায় উৎসাহিত করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমার গল্প লিলি’স লাইফ বইয়ের প্রথম গল্প হিসেবে স্থান পেয়েছে। গল্পটি লিলি নামে এক মেয়েশিশুকে নিয়ে। যে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে একা হয়ে গেছে। সে তার সঙ্গী করেছে আকাশের তারাকে, দুটি বিড়াল ছানাকে। প্রতি রাতে ছাদে গিয়ে তারার সাথে কথা বলে, তারাকে স্পর্শ করে। এভাবেই তার জীবনের গল্প এগিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন