দেশে দক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরিতে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)। রাজধানীর সোবহানবাগে প্রতিষ্ঠানটির নবনির্মিত ১২ তলা বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সটি হয়ে উঠেছে ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রতীক হয়ে। মাত্র তিন মাসেই প্রশিক্ষণ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আয় করেছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প পরিচালকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং একনেকে অনুমোদিত ঢাকাস্থ বিআইএমকে শক্তিশালীকরণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে এই আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, যার বাস্তবায়নকাল নির্ধারিত হয় এপ্রিল ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত প্রকল্পটির ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ অর্থ ইতোমধ্যে ব্যয় সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল বিআইএম নিজেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি বেইসমেন্টসহ ভবনটির আয়তন প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার বর্গফুট। এতে রয়েছে ২৪টি শ্রেণিকক্ষ। যার প্রতিটিতে ৬৪ জন করে মোট ১ হাজার ৫৩৬ জন প্রশিক্ষণার্থী একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এছাড়া ৪টি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ৮৪টি হোস্টেল কক্ষ ও ৮টি ভিআইপি হোস্টেল, কনফারেন্স হল, মাল্টিপারপাস হল, বিজনেস সেন্টার, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও ১১৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে।
নতুন ভবনের পাশাপাশি বিআইএমের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতেও গুণগত পরিবর্তন এসেছে। পিজিডি কোর্সগুলোর পাঠক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কাঠামো সাজানো হয়েছে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীদের চাহিদা বিবেচনায়। পাশাপাশি, অনুষদ সদস্যদের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ বেড়েছে। যাতে তারা আধুনিক ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতায় সমৃদ্ধ হতে পারেন।
নবনির্মিত কমপ্লেক্সটি উদ্বোধনের তিন মাসের মধ্যেই সরকারি খাতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এর ফলে দক্ষতা উন্নয়ন খাতে বিআইএম মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিআইএম কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি হয়ে উঠেছে দক্ষতা, আধুনিকতা ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের প্রতীক। এখান থেকেই তৈরি হবে সেই মানবসম্পদ, যারা শুধু দেশের উন্নয়নে নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। প্রশিক্ষণনির্ভর, দক্ষতাভিত্তিক এবং মানসম্পন্ন এই যাত্রা দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন