কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৫ মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত 

পুরোনো ছবি
পুরোনো ছবি

একই মালিকানাধীন বিএনএস গ্রুপের ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং লি. এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এর শ্রমিকদের যথাক্রমে ৫ ও ৩ মাসের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ এবং কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছে।

রোববার (১৪ জুলাই) ১৩তম দিনের মতো শ্রম ভবনে অবস্থানরত শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি প্রবীণ শ্রমিকনেতা মাহাবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মতিয়ার রহমান, জালাল হাওলাদার, মো. রাসেল মিয়া প্রমুখ।

নেতারা বলেন, গাজীপুরে অবস্থিত এম এন এইচ বুলুর মালিকানাধীন বিএনএস গ্রুপের দুটি কারখানা ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং লি. এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এ কর্মরত শ্রমিকদের যথাক্রমে ৫ ও ৩ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ না করে কারখানা দুটি বেআইনিভাবে বন্ধ করে রেখেছে। মালিক কারখানার ইউনিয়ন নেতাদের ব্যাংক লোন করে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। যা ট্রেড ইউনিয়নের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। প্রকারান্তরে শ্রমিকদের বিপদগ্রস্ত করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের অযৌক্তিক উদ্দেশ্য। ইতোপূর্বে কারখানা দুটির শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলাম যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত সব দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি কোনো সমাধান করতে পারিনি। এমতাবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অনেক শ্রমিক পরিবারকে বাড়িওয়ালা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অর্থাভাবে অনেক শ্রমিকের সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৩ মাস লাগাতার আন্দোলন চলছে।

তারা আরও বলেন, ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। ২ জুলাই থেকে একাধারে তিন দিন শ্রম ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান ও আন্দোলনের চাপে শ্রম অধিদপ্তর গত ৭ জুলাই ত্রিপক্ষীয় সভা আহ্বান করেছিল। কিন্তু মালিক উপস্থিত হয়নি। এর আগেও ২টি সভায় মালিকপক্ষ উপস্থিত হননি। এরপরও সরকার মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বারবার আশ্বস্ত করা হলেও অদ্যাবধি শ্রমিকদের সঙ্গে প্রহসনমূলক আচরণ করা হচ্ছে, যা প্রকারান্তরে মালিককে অপরাধ করে পার পাইয়ে দেওয়ার শামিল। এমতাবস্থায় এই আন্দোলনকে প্রয়োজনে জাতীয়ভিত্তিক শ্রমিক আন্দোলনে পরিণত করে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে বলেও ঘোষণা দেন নেতারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাতে বাড়ি থেকে বের হন জাকির, সকালে মিলল মরদেহ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল

মীর মুগ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ‘কালি’

দুর্নীতির দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বরখাস্ত

ইসরায়েলকে ছেড়ে সৌদিতে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস অজান্তেই আপনার লিভারের ক্ষতি করছে

নারীর অধিকার সুরক্ষায় নিবন্ধন আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো, কারণ কী

প্লট দুর্নীতি / হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি চুক্তি নিয়ে রায় ৪ ডিসেম্বর

১০

কঠোর গোপনীয়তায় কারাগার থেকে সরানো হলো স্ত্রীসহ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে

১১

যমুনা অভিমুখে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, পুলিশের বাধা

১২

ছেলে-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

১৩

শীতে চুলের যত্নে যা করবেন

১৪

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

১৫

প্রবাসীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের, ডিসেম্বরে কার্যকর

১৬

‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

১৭

আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন: তানজিন তিশা

১৮

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের

১৯

ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন

২০
X