ঢাকা শহরের ৩৩টি খাল, লেকগুলো দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এবং খালের দুই পাড়ে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (০৫ মে) গুলশানে নগরভবনে ঢাকা শহরের ৩৩টি খাল ও লেকের দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণ কাজে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণ সভায় তিনি এ বিষয়ে জানান।
প্রশাসক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২৯টি খালের পাশাপাশি রাজউকের আওতাধীন লেকগুলোতে এবং ঢাকা দক্ষিণের ৪টি খালের পাড়ে গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে ডিএনসিসির নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকরা। খালের দুই পাড়ে লাগানোর জন্য গাছ সরবরাহ করবে ডিএনসিসি, নির্ধারিত এলাকার জন্য ডিএনসিসির নির্ধারিত মালী থাকবে যারা বৃক্ষরোপণে সহায়তা করবে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সব স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ম্যাপিংসহ পরিকল্পনা ও নকশার মাধ্যমে খালের পাড়ে বিভিন্ন দেশি গাছ যেমন- হিজল, জারুল ইত্যাদি লাগাবেন।
ডিএনসিসির সঙ্গে খাল দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এবং খালের দুই পাড়ে গাছ লাগানোর জন্য কাজ করবে যেসব স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান তারা হলো- রিভার অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ, গ্রিন ভয়েস, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার্স, কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন, নগরাবাদ, সিডিসি, আশার আলো, ইয়ুথ মেন্টর, ব্রাইটস, আলোকিত করি, ফিনিস মনডিএল বাংলাদেশ, ইউএনডিপি, লাল সবুজ সোসাইটি, ইয়ং ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক, ইকো টাউন নেটওয়ার্ক গ্লোবাল এবং ওএবি ফাউন্ডেশন।
সভায় স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে তাদের সুবিধা অনুযায়ী খালের অংশগুলো বণ্টন করে দেওয়া হয়, যাতে তারা ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে খাল দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এবং খালের দুই পাড়ে গাছ লাগানোর কাজে সহায়তা করতে পারে।
উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে একজনের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকায় অবস্থিত পুকুরগুলো খুব শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন হবে। ঢাকার জেলা প্রশাসক কিছুদিনের মধ্যে কয়েকটি পুকুর খনন করে পাড় বাঁধাই করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করবেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম সামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
মন্তব্য করুন