রাজধানীর হাজারবাগের জিগাতলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঞ্চল্যকর আলভি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রায়হান (২০), মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমতি পাল (২৩) ও কাউসার (২১)। ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, জিগাতলায় নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। আলভী ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৬ মে) সামিউর তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমন্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে বাসার সামনে নিয়ে তাদের গতিরোধ করেন। এ সময় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা সামিউর ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউরকে রাত ৯টা ০৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। সামিউরের তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মো. সামিউল রহমান খান আলভীর বাবা মো. মশিউর রহমান খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার আসামিদের শনাক্ত করে ১৮ মে বিকেলে রায়হানকে ও ১৯ মে বিকেল ৩টায় সমতি পালকে হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ১২টা ২০ মিনিটে হাবিবুর রহমান মুন্না ও কাউসারকে গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আসামিরা। গত ১৫ মে রাত ৯টায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে বাগানবাড়ী লেকে ভিকটিম ও তার বন্ধুদের সাথে আসামিদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন