রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফজলে রাব্বি নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পুরোনো শত্রুতার জেরে সুমনকে তারই পরিচিত মুন্না নামে একজন কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান।
তিনি কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত দুজনই পূর্ব পরিচিত। পুরোনো শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। হত্যায় অভিযুক্ত মুন্নাকে আমরা আইনের আওতায় আনতে কাজ করেছি। মুন্নাকে গত মে মাসে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে তুলেছিলাম। দুই মাস পার না হতেই সে জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। ভুক্তভোগী সুমনেরও ক্রিমিনাল রেকর্ড (নানা অপরাধে পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি) আছে। তার বিরুদ্ধেও কিছু মামলা আছে, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের দাবি, মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী গেট এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান সুমন। তখন মুন্না এসে সুমনের হাতে থাকা মোবাইলফোনটি ছিনিয়ে নিতে চায়। সুমন দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার পায়ে ধারল ছুরি দিয়ে আঘাত করে মুন্না। সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার হাতে থাকা মোবাইলটি নিয়ে চলে যায় মুন্না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সুমনের স্ত্রী ও বন্ধুরা। সেখান থেকে তাকে প্রথমে নেওয়া হয় সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা অবস্থা গুরুতর বুঝে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনিচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক কালবেলাকে বলেন, সুমন নামের একজনের মরদেহ এসেছিল। তার স্বজনরা বলেছে- ছিনতাইকারীর হাতে তিনি খুন হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে সুমনের বাবা মো. বশির হোসেন বলেন, সুমনের মা অনেক কান্নাকাটি করছে। এখন আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।
মন্তব্য করুন