কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট : ১২ জুন ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান বাম জোটের 

হরিজন কলোনিতে বাম জোটের পরিদর্শন। ছবি : সংগৃহীত
হরিজন কলোনিতে বাম জোটের পরিদর্শন। ছবি : সংগৃহীত

বংশালে মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান থেকে বিরত থাকতে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বুধবার (১২ জুন) কলোনিতে পরিদর্শনে গিয়ে নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান।

অসহায় হরিজনদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়ে বাম নেতারা বলেন, গত ৪ শত বছর ধরে বসবাসরত হরিজনদের ভূমির অধিকার রয়েছে। মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে কলোনির ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।

পল্লিতে তাৎক্ষণিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা কমরেড ডা. হারুন অর রশীদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ নেতা নিখিল দাস, খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা মিহির ঘোষ, মঞ্জুর মঈন, তাসমিনা আক্তার সাথী, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা ইকবাল কবীর প্রমুখ।

নেতারা বলেন, গত ৪০০ বছর ধরে হরিজনরা বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে বসবাস করে আসছে। শহর পরিষ্কার রাখতে এবং মানুষদের পরিচ্ছন্ন রাখতে তারা বংশ পরম্পরায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই কলোনি ছাড়া তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তারা সবসময় অবহেলার শিকার হয় এবং অমানবিক পরিবেশে ছোট ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা-পুত্র বধূ নিয়ে গাদাগাদি করে তাদের জীবনযাপন করতে হয়। এদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে এই উচ্ছেদ অভিযান কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

নেতারা আরও বলেন, হরিজনদের ভূমির অধিকার দীর্ঘদিনের দাবি। সেটি তো তারা মানছেই না। উপরন্তু উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে। ইতিমধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাম করে হরিজনদের চাকরি না দিয়ে অন্যদের চাকরি ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করছে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসমূহ। শুধু তাই নয়, আগে যেমন আমৃত্যু কাজ করতে পারত বর্তমানে চাকরির সীমা ৫৯ বছর করা হয়েছে। ফলে বহু হরিজনদের চাকরির ব্যবস্থা নেই। চাকরি থাকুক আর না থাকুক হরিজনদের এই কলোনিতে থাকা ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।

তারা বলেন, এই হরিজনরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ জন হরিজন নেতা জীবন উৎসর্গ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছরে আজ তারা তাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাবে, এটি আশা করা যায় না। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এদের উচ্ছেদ করে ধনী-লুটেরাদের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মনে করেন বাম জোট নেতৃবৃন্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তান

গাজা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে মানুষ

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন হবে : জবি উপাচার্য 

পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত শুরুর পর সাইফের বিদায়

যুক্তরাষ্ট্রে সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড (পিসিবিএ) রপ্তানি করছে ওয়ালটন

ফোনে কথা বলতে বলতেই প্রাণ গেল যুবকের

জানুয়ারিতে সম্পূরক বৃত্তি পাবে শিক্ষার্থীরা : জবি উপাচার্য 

পুরুষের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানো আমার পক্ষে সম্ভব নয় : তনুশ্রী দত্ত

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার 

ডাকসু-জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি ইউটিএলের 

১০

এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি

১১

হানিয়া আমিরের পর ঢাকায় আসছেন ২ পাকিস্তানি গায়ক

১২

৫ আগস্টের পর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে : নীরব

১৩

আদালত চত্বরে নাটকীয়ভাবে আসামি অপহরণের চেষ্টা, আটক ১০

১৪

নীরব ঘাতক থাইরয়েড ক্যানসার, এই ৬ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন

১৫

রাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি

১৬

সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : দুদু

১৭

ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম

১৮

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁনের পোস্ট

১৯

রাকসু নির্বাচন : ১৭ কেন্দ্রের ৯৯০ বুথে ভোট গ্রহণ

২০
X