চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের র‍্যালি। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের র‍্যালি। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খানকাহ শরিফ থেকে জুলুসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।

এর আগে এদিন সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মুসল্লিরা জামিয়া প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলুস আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এ সময় ভক্ত-অনুরাগীদের ধর্মীয় স্লোগান ও কালেমায় মুখরিত হয়ে ওঠে মুরাদপুর এলাকা।

চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখ লাখ মুসল্লি জুলুসে অংশগ্রহণ করেন। জশনে জুলুসের নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মাদজাল্লাহু আলি), আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। জুলুসে অংশ নেন ট্রাস্টের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ও আলেম-ওলামারা।

জুলুসে নেতৃত্ব দিতে এসে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ বলেন, জশনে জুলুস হচ্ছে নবীপ্রেমের সোনালী প্রদীপ। লাখো মানুষের এই অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, মুসলমানরা নবীজির (সা.) ভালোবাসায় সর্বদা ঐক্যবদ্ধ। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই জুলুস এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম আজ ঈমান, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহোৎসবে রূপ নিয়েছে।

পথে পথে দেখা যায় এক অনন্য দৃশ্য। প্রতিটি মোড়ে শরবত, পানি ও তাবাররুকের ব্যবস্থা রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ছোট্ট শিশুরাও হাতে শরবতের গ্লাস নিয়ে ভক্তদের আপ্যায়ন করছে। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এ সেবায় অংশ নিয়েছে। ফলে পুরো জুলুস রূপ নিয়েছে অতিথি আপ্যায়ন আর ভ্রাতৃত্বের মহা উৎসবে।

চট্টগ্রামে জশনে জুলুস শুরু হয় ১৯৮০ সালে। টানা ৫৪ বছর ধরে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এই আয়োজন করে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এ জুলুস এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী সুন্নি মুসলমানদের কাছে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রতিবছর লাখো ভক্ত-অনুরাগীর সমাগমে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় শোভাযাত্রায় রূপ নিয়েছে।

এদিকে জুলুসকে ঘিরে আগে থেকেই নগরীতে চলে আলোকসজ্জা। মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন হয়। পুরো চট্টগ্রাম শহর যেন সাজে নবীপ্রেমের রঙে, আলোকিত হয়ে ওঠে প্রতিটি সড়ক, প্রতিটি গলি।

একজন আগত মুসল্লি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতিবছর এখানে আসি শুধু একবার নবীজির (সা.) শানে মিলিত হতে। লাখো মানুষের এই সমাবেশে অংশ নেওয়া সত্যিই অন্যরকম এক শান্তির অনুভূতি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিসাইক্লিং থেকে রেভিনিউ, চক্রাকার অর্থনীতির বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি

টানা ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায়

প্রেমিকার প্রশংসায় হৃতিক

ছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন

মেসির পর কে হচ্ছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক?

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা চরমে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয় : রিজভী

যাত্রীবাহী বাস উল্টে খালে, নিহত ২ 

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করুন আজই, আর একদিন বাকি

‘সাবসে আলা হামারা নবী’ ধ্বনিতে মুখরিত চট্টগ্রামের জশনে জুলুস

১০

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন এআই ফিচার

১১

সবচেয়ে কঠিন ব্যাটার হিসেবে যার নাম বললেন আফ্রিদি

১২

ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে দেরি, বিকল্প ভাবছে বার্সা

১৩

স্বর্ণের বাজারে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে নতুন উদ্যোগ

১৪

এক্সরে করে যুবকের পেটে মিলল বিপুল ইয়াবা

১৫

চাঁদাবাজদের মা-বাবার নামসহ তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে : সারজিস 

১৬

জোকোভিচকে বিদায় করে ফাইনালে আলকারাজ

১৭

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে : অভি

১৮

মোবাইল দিয়েই করুন টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন

১৯

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ 

২০
X