চট্টগ্রামের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে ‘পরকীয়ার জেরে’ খুন করান। এ সময় এক আসামিকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন অস্ত্রও কিনে দেন বাবুল বলে জানিয়েছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে কয়েকবার কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহেদা মোশাররফ। তিনি বলেন, শুরু থেকেই বাবুল-মিতুর দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো ছিল না। বাবুলের ‘পরকীয়ার’ ঘটনা জানার পর তা মা-বোনকে জানিয়েছিলেন মিতু। এরপর মিতুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন বাবুল। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে মিতু তিন-চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিদেশে অবস্থানকালে সেখানে বসেই মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বাবুল আক্তার।
সাক্ষ্য শেষে দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত জেরা চলে। শাহেদা মোশাররফের জেরা অসমাপ্ত রেখেই দিনের কার্যক্রম শেষ হয়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আবার তাকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মিতুর স্বামী পুলিশের চাকরিচ্যুত এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। শুরুতে জঙ্গিদের দিকে আঙুল তোলা হলেও পরে কাহিনিতে আসে নাটকীয়তা। সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। একপর্যায়ে মামলার বাদী থেকে আসামিতে পরিণত হন বাবুল। চাকরিও হারান তিনি।
মন্তব্য করুন