মানবজীবনের সবচেয়ে কোমল ও সংবেদনশীল অধ্যায় হলো শৈশব। যেখানে জন্ম নেয় স্বপ্ন, আর পরিবার ও সমাজের স্নেহে গড়ে ওঠে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই শৈশব যদি ক্ষতের দাগে ভরে ওঠে, তবে তা হয়ে যায় এক দুঃসহ স্মৃতি। সেই বেদনাবিধুর অভিজ্ঞতারই প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় লেখক মো. বিল্লাল হোসেন (জুয়েল)-এর গ্রন্থ ‘শৈশবের দুঃস্বপ্ন’-এ।
লেখকের মতে, এটি কেবল কষ্টের কাহিনি নয়; বরং সামাজিক বার্তা বহনকারী একটি উপন্যাস। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ সন্তানের মনে কী ভয়াবহ আঘাত হানে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাহীনতা কীভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত করে তারই বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে বইটির পাতায় পাতায়।
গ্রন্থের প্রতিটি অধ্যায় যেন পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেয় শিশুর হাসি রক্ষা করা অভিভাবকসহ সমাজের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।
মো. বিল্লাল হোসেনের জন্ম ঢাকায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি অনুসন্ধিৎসু মানসিকতার অধিকারী ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে সমাজকর্মে এম.এস.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ এক দশক বাংলাদেশ টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন ও ২০১০ সাল থেকে বৈশাখী টেলিভিশনে কাজ করছেন।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ভ্রমণের প্রতি রয়েছে তার গভীর অনুরাগ। এরই মধ্যে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন।
‘শৈশবের দুঃস্বপ্ন’ তার প্রথম গ্রন্থ, যেখানে ব্যক্তিগত বেদনা, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে প্রিয়মুখ প্রকাশন।
মন্তব্য করুন