আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অধ্যক্ষের লাঞ্ছনা সইতে না পেরে হাসপাতালে শিক্ষক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক। ছবি : কালবেলা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক। ছবি : কালবেলা

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজ শাখার শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্ছনা সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক শিক্ষক।

বুধবার (৩ জুন) উপজেলার বুধহাটা বাহাদুরপুর ভুবনমোহন কলেজিয়েট স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জাকির হোসেন অফিস সহকারীর রুমে বসে পরীক্ষার মার্কশিট তৈরির কাজ করছিলেন। এ সময় অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ অফিস সহকারীর কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রভাষক জাকির হোসেন কেন এই রুমে বসে আছেন এমন প্রশ্ন তুলে ধমক দিতে থাকেন অধ্যক্ষ। পরে প্রভাষক জাকির হোসেনকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ।

অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জাকির হোসেন অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে ঘটনাটি অবহিত করলে শিক্ষকবৃন্দ অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে এ ঘটনার কারণ জানতে চান। এ সময় অধ্যক্ষ উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। এরমধ্যে প্রভাষক জাকির হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার সহকর্মীরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাতক্ষীরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ শাখার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং রাজনীতিতে বিভক্ত করে রেখেছেন তিনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অনেকেই তাদের সন্তানদের বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল থেকে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ কালবেলাকে বলেন, প্রভাষক জাকির হোসেন আমার রুমে গিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ চেয়ার উঠিয়ে মারধর করতে আসে। ঘটনার সময় অন্যান্য শিক্ষকদের সহায়তায় তাদেরকে থামানো হয়। পরে শুনলাম প্রভাষক জাকির হোসেন অসুস্থ হয়ে সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আশাশুনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতিয়ার রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে অবহিত করেননি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা দুঃখজনক বলে জানান তিনি।

চিকিৎসাধীন প্রভাষক জাকির হোসেন বলেন, আমার কথা বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমার মুখে ও হাতে শক্তি কম পাচ্ছি। যা প্যারালাইসিসের লক্ষণ। অধ্যক্ষ মোহিত কুমার দাশ পরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমান অপদস্ত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও আমার সহকর্মীদের সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। মানসিকভাবে এ ঘটনা আমি সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খাবার নিয়ে বিপাকে রণবীর কাপুর

প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু

মারা গেলেন কিংবদন্তি জার্মান অভিনেতা

কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিট প্ল্যান প্রকাশ

এ ছবিটিই বলে দেবে আপনার মানসিক চরিত্র

দুধ দিয়ে গোসল করে দাম্পত্যের ইতি টানলেন প্রবীর

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

রাকুলের সতর্কবার্তা

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

১০

হেলে পড়া ভবন পরিদর্শন শেষে যা জানাল বিসিসি

১১

মধ্যরাতে পাকিস্তানের বোমা হামলায় ৯ আফগান শিশুসহ নিহত ১০

১২

যেসব দেশে থাকার জন্য টাকা পাওয়া যাবে

১৩

নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ

১৪

মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য সহায়তায় নতুন কৌশলে যুক্তরাষ্ট্র

১৫

গায়েহলুদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে বর-কনে

১৬

১৩ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিশু মাকসুদুর

১৭

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

১৮

আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে

১৯

‘পরিমার্জিত’ শান্তি পরিকল্পনায় একমত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন 

২০
X