সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে শতাধিক গুলি করা হয়েছে। ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগলেও এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটেও মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার টেকনাফে আসার পথে নাফ নদের বদরমোকাম মোহনায় গোলার চরে পৌঁছলে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী যাত্রীবাহী দুটি ট্রলার শাহপরীর দ্বীপের জেটিঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হয়েছে। শতাধিক গুলি করা হয়েছে। ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে ট্রলারটি জেটিঘাটে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় জেটিঘাটেও গুলি এসে পড়ে।
তিনি বলেন, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ গোলারচর দিয়ে বিকল্প রুটে নৌযান চলাচল করছে, সেখানেও তারা গুলি করছে। এর আগে নাফ নদে গুলি বর্ষণের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান বন্ধ হয়ে যায়। পরে দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের চিন্তা করে বিকল্প রুট দিয়ে নৌযান চলাচল শুরু হয়।
ট্রলারের মাঝিরা জানান, বুধবার দুপুরে মোহাম্মদ রুবেল এবং আবদুর রশিদের মালিকানাধীন দুটি ট্রলার ৭০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় নাফ নদে শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকাম মোহনায় গোলার চরে পৌঁছালে গুলি করা হয়।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ প্রসঙ্গে বিজিবির টেকনাফের-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে ২টি ট্রলারে আবারও গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের জলসীমানায় গুলি এসে পড়েছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন