মো. আবুল কালাম আজাদ, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুলিতে নিহত তামিমের বাবা বললেন, ‘সে ছাত্রলীগ করত’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিম। ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিম। ছবি : সংগৃহীত

‘তামিম আমার সারা জীবনের সাধনা। আমি ঘরবাড়িও করি নাই দেশে, পুতেরা করতে পারলে করবে। ওদেরকে মানুষ করি আমি; এই ছিল আমার লক্ষ্য। আমার এ ছেলে ভার্সিটি শেষে আমার কাজেও হেল্প করত।’

কথাগুলো বলতে বলতে গলাটা ভারী হয়ে আসছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিমের বাবা আব্দুল মান্নানের।

গত ১৯ জুলাই মিরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী।

নিহত তামিমের বাবা বলেন, তামিম এই আন্দোলনের পক্ষেও ছিল না। সে ছাত্রলীগ করত। গত ১৯ জুলাই বিকেলে আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি তার বন্ধুদের থেকে শুনেছি, তামিম বাসা থেকে বের হয়ে তাদের সঙ্গে আন্দোলন দেখার জন্য গিয়েছিল। আন্দোলনের ভয়াবহতা দেখে সে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের পেছন দিয়ে ফিরে আসছিল। এ সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, ফোনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে আমি প্রথমে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, তারপর আল হেলাল হাসপাতালে যাই। আল হেলাল হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে আমাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে আমি তামিমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ খুঁজে পাই।

২০ জুলাই সকাল ৮টায় জানাজা শেষে তামিমের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। তামিমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পূর্ব শোশালিয়া গ্রামে হলেও তারা ঢাকাতেই বসবাস করেন। নিম্ন আয়ের পরিবারে তিন সন্তানের মধ্যে তামিম ছিল দ্বিতীয়। তার বড় ভাই বাবার সঙ্গেই মিরপুরে মোটর মেকানিকের কাজ করেন, আর ছোট ভাইয়ের বয়স ৪ বছর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অকালেই এমন একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

তামিমের চাচা মো. মোস্তফা বলেন, আমাদের আশা ভরসা সবই শেষ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তো বাবা-মা একজন সন্তানকে লালন পালন করেন। সে আশা শেষ হয়ে গেল। আমাদের আফসোস করা ছাড়া তো আর কিছুই করার নাই।

এদিকে ২৮ জুলাই সকালে তামিমের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন বলে জানান তামিমের বাবা আবদুল মান্নান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঐকমত্য কমিশনে একটা ঐকমত্য পার্টি তৈরি হয়েছে : এনডিএম মহাসচিব

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে তিন বিষয়ে ফেল

ডিজেলবাহী ট্রেনে ভয়াবহ আগুন

শাকিবের বিপরীতে প্রিয়াঙ্কা, গুঞ্জন নাকি সত্যি?

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দায়বদ্ধতা আছে : মাওলানা ইউসুফী

ছাত্রদলের হামলা, শিক্ষক সমিতি বলল ‘ধস্তাধস্তি’

১৮ তম জন্মদিনে রাজকীয় উদযাপন! ২০০ অতিথি নিয়ে ইয়ামালের পার্টি

চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা, হতে পারে ভারি বৃষ্টি

জাল সনদে প্রধান শিক্ষক হওয়ার অভিযোগে অপসারণ দাবি

১০

রিয়ালে সতীর্থ ও স্টাফদের যে চমকে যাওয়া উপহার দিয়েছিলেন রোনালদো

১১

সোহাগ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর উদ্যোগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান

১৩

চাকরি দিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি

১৪

তপশিল থেকে নৌকা প্রতীক বাদ দেওয়ার দাবি এনসিপির

১৫

হাসিনা ও তার সহযোগী ঢাবি শিক্ষকদের বিচার দাবি সাদা দলের 

১৬

কুমিল্লা মিডিয়া ফোরামের নেতৃত্বে মামুন-আতিক

১৭

৩৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক নাসিম 

১৮

অভিনয়ের জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে : অপু বিশ্বাস

১৯

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

২০
X