মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। হামলা থেকে বাদ যায়নি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি।
সিংগাইর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক থানা কমান্ডার আবুল বাসার বলেন, সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর পাওয়ার পরই দুর্বৃত্তরা সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভাঙচুর করে। শুধু ঘিওর উপজেলা ছাড়া জেলার সব উপজেলার কমপ্লেক্সই ভাঙচুর করা হয়।
থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান জানান, সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে ঢুকে ভাড়াটিয়াদের মাইকিং করে বের করে দিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তার কক্ষে ঢুকে সবকিছুই লুটে নিয়ে যায়।
উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুশফিকুর রহমান খান হান্নান জানান, তার বাড়ি ও গাড়িতে আগুন দেওয়ায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে গ্রামবাসী তাদের প্রতিহত করে। ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাঈদ বেপারির বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদে ইট-পাটকেল মারা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
সিংগাইর উপজেলা ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব খান জানান, তাদের গ্রামে নাজির খানের মুদি দোকান ও ছানোয়ার মেম্বারের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া থানা ভবন ঘেরাও করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং ধল্লা পুলিশ ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহাববুর রহমান মিঠুর বাধার কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।