সিলেট সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এতে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নিহত সাংবাদিক তোরাবের ভাই আবুল আহছান মো. আযরফ জাবুর বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি এফআইআর গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব।
জানা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি পীযুষ কান্তি দে, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পিএস যুবলীগ নেতা সাজলু লস্কর, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ (মো. রুহুল আমীন), পুলিশ কনস্টেবল সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।
এর আগে তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর) তার ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এটিকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করে।
আদালতে মামলা দায়ের করে আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর) বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব। এরপরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। তার শরীরে ৯৮টি স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন ওসমানী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন