জনভোগান্তি ও হয়রানির প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বরিশাল বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশালের সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী, নানা মহল ও সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন বিরূপ অভিজ্ঞতা ও প্রভাবের বিষয়ে অবগত হয়েছি। এক কথায় প্রি-পেইড মিটার একটি জটিল মিটার। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ভোগান্তি ও হয়রানির স্বীকার হওয়া ছাড়া আর কোনো তথ্যই সামনে আসছে না। কাজেই বরিশালে এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করলে অন্য জায়গার মতো এখানকার ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হবেন। গ্রাহকরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মানুযায়ী জানিয়েছেন। এর পরও যদি বিপজ্জনক ওই মিটার বসানোর কার্যক্রম হাতে নেয়, তাহলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরবর্তী সময়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
বক্তারা আরও বলেন, বিগত সরকার নাগরিকদের দিকবিবেচনা না করে তাদের ইচ্ছেমতো দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রি-পেইড মিটার বসিয়েছে। যেটি সাধারণ মানুষের কাঁধে এখন দানবের মতো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসিনার কোনো প্রজেক্ট এদেশে আর বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সমাবেশ থেকে বক্তারা। এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান নেতারা। এই মিটার বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের নির্বাহী সমন্বয়ক আরিফুর রহমান মিরাজ, দপ্তর সম্পাদক রুবিনা ইয়াসমিন, সাবেক শিক্ষক মাসুদ চৌধুরী, সমাজসেবক বিলিয়ন পলাশ, শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান মিয়া, ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার, শাখাওয়াত হোসেন, রাইসুল ইসলাম, মো. নিয়াজ, আকিউর রহমান লিমন, মাসুম বিল্লাহ, আবদুল মান্নান মৃধা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে প্রি-পেইড মিটার বাতিলের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন