ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসায় না যাওয়ায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে রোকশানা আক্তার নামের এক কিশোরী।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার চরগনেশ গ্রামের রেজি মিয়াজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই বাড়ির মোহাম্মদ হারুন ও কামরুন নাহার স্বপ্নার মেজো মেয়ে। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল রোকশানা।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকশানা নিজ বসতঘরের শয়ন কক্ষে বটুড়ের (আড়া) সাথে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ক্লাসের সময় হলে রোকশানাকে তার বাবা মাদ্রাসায় যেতে বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোকশানার বাবা মোহাম্মদ হারুন তার মা কামরুন নাহার স্বপ্নাকে বকাঝকা করে। পরে রোকশানাকেও তার মা বকাঝকা করে। মায়ের বকুনি খেয়ে সে নিজ শয়নকক্ষে চলে যায়।
দুপুরে রোকসানার বাবা বাড়ি আসলে মেয়েকে খুঁজতে তার তার শয়নকক্ষে গেলে দেখে ঘরের আড়ার সাথে তার মরদেহ ঝুঁলছে। এরপর তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে লাশ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক একরামুল হকের নেতৃত্বে একটি দল লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় কাউন্সিলর নাজিম উদ্দীন বলেন, রোকশানা নামের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে যাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, মাদ্রাসায় না যাওয়ায় বকাঝকা করলে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোনাগাজী মডেল ওসি হাসান ইমাম বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের লাশঘরে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন