ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বৃষ্টির জন্য হাহাকার, দিনাজপুরে আমন চাষে শঙ্কা

বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমন রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে আমন রোপণ শুরু করেছেন অনেকে। বৃষ্টির অপেক্ষা না করে শ্যালো মেশিন অথবা মটর দিয়ে পানি তুলে কেউ কেউ ধান রোপণ করেছেন চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে। আবার অধিকাংশ কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। সোমবার (৩১ জুলাই) উপজেলা ঘুরে এমনি দৃশ্য চোখে পড়েছে।

আষাঢ় শেষ। শ্রাবণ মাসেরও অর্ধেক চলে যাচ্ছে, তবুও দেখা নেই বৃষ্টির। ধানের চারারও বয়স হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই নির্ভর করতে হচ্ছে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন অথবা বিদ্যুৎচালিত মটরের ওপর। এতে খরচ বেড়ে গেলেও কিছুই করার নেই কৃষকের। তাছাড়া আমন চাষ সম্পূর্ণ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের মতো আমনে সেচ দিয়ে যেতে হবে। এতে আমনের খরচ বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুন : বর্ষায় বৃষ্টি নেই, ফেটে চৌচির আমন ক্ষেত

উপজেলার আশিশ নামের আরও একজন কৃষক জানান, জমি কাদা করার মতোও বৃষ্টি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এখনো বৃষ্টি হয়নি। ধান চাষে দেরি হয়ে যাচ্ছে, ধানের চারারও বয়স বেড়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন লাগিয়ে জমিতে পানি তুলে ধান চাষ করছি। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তবুও করার কিছু নেই।

পৌর এলাকার কাদিমনগরের কৃষক সাব্বির হোসেন বলেন, উপজেলার কৃষকরা আষাঢ়ের ১৫ তারিখের পর ও শ্রাবণের ১৫ তারিখের মধ্যে সাধারণত আমন ধান রোপণ করেন। এবার শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পানির অভাবে জমি লাগাতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বিঘা প্রতি গভীর নলকূপ মালিককে দিতে হবে ২২শ থেকে ২৩শ টাকা ও শ্যালো মেশিন মালিককে দিতে হবে ১০০০ টাকা। এটি কৃষকের বাড়তি খরচ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান জানান, এবার উপজেলাতে সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করেছেন উপজেলার আমন চাষিরা। চলতি আমন মৌসুমে খরার প্রকোপ চলছে। আমন চাষের এখনো সময় আছে। তবে প্রচণ্ড রোদ অব্যাহত থাকলে কৃষকদের সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানি না থাকায় বেশির ভাগ জমিই অনাবাদি হিসেবে পড়ে আছে। বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের আমন বীজতলাগুলো প্রখর রোদে হলুদ বর্ণ ধারণ করতে শুরু করেছে। এসব বীজতলার চারা রোপণ করলে পর্যাপ্ত ফল নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে। গত বছরও একই অবস্থা তৈরি হয়েছিল, যেখানে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষকই সেচ পাম্পের মাধ্যমে ধান রোপণ করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

‘সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক’

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

১০

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত

১১

৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম

১২

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৩

ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!

১৪

অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি

১৫

‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ

১৬

জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী

১৭

স্বর্ণে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস, ভরি কত

১৮

অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল নানা-নানির

১৯

এবার রুপার দামেও নতুন রেকর্ড

২০
X