লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে টানা বর্ষণে ১ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত পানির নিচে

টানা বর্ষণে ধান ক্ষেত পানি নিচে তলিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা
টানা বর্ষণে ধান ক্ষেত পানি নিচে তলিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা

লক্ষ্মীপুরে টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় দুই হাজার হেক্টর আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষেত পানির নিচে। এ ছাড়া কমলনগর ও রামগতি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙে গেছে।

এদিকে কমলনগর চর কালকিনি ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জে একটি রাস্তা ভেঙে জনপদে ঢুকেছে পানি। এতে প্রায় ১৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়াও রামগতির চর রমিজ ও চর আবদুল্লাহসহ বিভিন্নস্থানে আরও ৩৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর ৮১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। খরার কারণে কৃষকরা পুরোদমে আবাদ করতে পারেননি। এ মাসজুড়ে তারা আবাদ করবেন। জোয়ারের পানিতে ১ হাজার হেক্টর জমির আমন ও ৬০ হেক্টর জমির সবজি তলিয়ে রয়েছে। তবে বেসরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২ হাজার হেক্টর আমন ও শাকসবজির ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগরের মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। এ জনপদের ৩২ কিলোমিটার উপকূলে বেঁড়িবাধ না থাকায় জোয়ারে আশপাশের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ডুবে যায়। নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি। ইতোমধ্যে এসব এলাকার ২৫টি গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙে গেছে। এ সময় অন্তত ৫০টি বসতঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

রামগতির চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, জোয়ারের কারণে দুটি পাকা ও চারটি রাস্তা ভেঙে গেছে। তিন দিন ধরে মানুষ দুপুর এবং রাতে চুলাতে আগুন দিতে পারেনি।

রামগতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হজরত আলী বলেন, রামগতিতে বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে এক হাজার ৫৮০ হেক্টরের রোপা আমন ও ২৪৭ হেক্টর জমির বীজতলার আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এ ছাড়া ১০৫ হেক্টর জমির শাকসবজি পানিতে ডুবে আছে। পানি সরলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, কমলনগরে সাত থেকে আটটি গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে গেছে। এরমধ্যে চর কালকিনি ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জ এলাকার একটি রাস্তা ভেঙে জনপদে পানি ঢুকেছে। এতে ১৫ থেকে ২০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমির আমন ফসল ও সবজি নিমজ্জিত হয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়সহ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দের জন্য আমনের চারা রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, জোয়ারে গ্রামীণ সড়ক ও ঘরবাড়ি ক্ষতির বিষয়ে ইউএনও কাজ করছেন। প্লাবিত হওয়া এলাকার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির যে তালিকা পাওয়া গেছে, তা ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

১১

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

১২

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৩

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১৪

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১৫

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৬

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১৭

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

১৮

দুর্গোৎসবে টাইমস স্কয়ারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আবহ

১৯

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

২০
X