রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে আলটিমেটাম

বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

তাদের দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। মামলার আসামিদের আইনের আওতায় না এনে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে চাইলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব রহমত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা রংপুরে পুলিশকে মেনে নেবে না। এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে রংপুরের মাটিতে কোনো পুলিশের জায়গা হবে না। তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘এ মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই- দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা পুলিশ প্রশাসনে বহাল থাকায় আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা মদদ দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনের অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করে সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশিদ,সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার করেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ মামলায় রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিক প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

এমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ / যাদের হাতে উঠল টেলিভিশনের সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার

কাতারে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্রাম্প 

স্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার, বাধ্যতামূলক অবসরে ডিআইজি

রাকসু হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন জয়ী

হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে চোখ শ্রীলঙ্কার

বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার পরিস্থিতি কী

গোয়ালন্দে ওসির পর এবার ইউএনও বদলি

ব্যারিস্টার হতে চান নুসরাত ফারিয়া

নেপালের প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন সবিতা ভাণ্ডারি 

১০

দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে

১১

ম্রুণাল ঠাকুরের আবেগঘন বার্তা 

১২

হাত মেলাতে এসেছিল পাকিস্তান দল, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করেন বুমরাহরা

১৩

ভারতের কাছে পাত্তা না পাওয়া পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন শোয়েব আখতার

১৪

ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকরি

১৫

ভারতীয়কে গলা কেটে হত্যা, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের 

১৬

খুলনায় হোটেল কক্ষে মিলল যুবকের মরদেহ

১৭

কুড়াল দিয়ে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৮

জরাজীর্ণ এই দোকানে ৪ পুরুষের ‘বরিশাল দধি ঘর’

১৯

ইনজুরিতে সাকিব, করাতে হবে অস্ত্রোপচার

২০
X