বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০০ টাকায় মিলল নতুন বই, প্রধান শিক্ষক বললেন ব্যয় হবে উন্নয়নকাজে

বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইনসেটে প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন। ছবি : কালবেলা
বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইনসেটে প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন। ছবি : কালবেলা

বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের নতুন বই নিতে বিদ্যালয়ে গিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। বই হাতে পেয়ে সহপাঠীরা মিলে আনন্দ উদযাপন করবে, সে জন্য পরেছে নতুন পোশাকও। কিন্তু ২০০ করে টাকা দিয়ে নতুন বই নিতে হয়েছে অনেককে। আর যারা টাকা দিতে পারেনি, তারা বঞ্চিত হয়ে খালি হাতে ফিরে গেছে বাড়িতে।

এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিতরণের সময় ২০০ টাকা করে মোট সাত হাজার ২০০ টাকা নিয়েছেন। আর টাকা না দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী এখনো নতুন বই পায়নি।

তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, এটি স্কুলের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। পরে তাদের নতুন বই দেওয়া হয়েছে। বইয়ের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এ ঘটনার প্রতীকার চেয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়েছেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি বই দেওয়ার নামে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানায়, প্রধান শিক্ষক ২০০ টাকা করে নিয়ে নতুন বই দিয়েছেন। কোনো রশিদ দেননি। কিন্তু তারা টাকা না দেওয়ায় তাদের বই দেওয়া হয়নি।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি নতুন বই পেয়ে আনন্দ করেছে। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সরকার বিনা মূল্যে বই দিচ্ছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক লিলি বেগম টাকা ছাড়া বই দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন বলেন, ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। নতুন বইয়ের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। বই উৎসব পালন করেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দিয়েছি। তা ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলে, বই দেওয়ার দিন ম্যাডাম ২০০ টাকা নিয়ে আসতে বলছিলেন। তাই ২০০ টাকা দিয়ে বই নিয়ে গেছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের বই দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। সরকারি বই বিতরণ নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো রকম অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করার জন্য। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

ডাকসু নির্বাচন, আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

শুনানিতে বিএনপি-এনসিপির মারামারির ঘটনায় ইসির জিডি

পাঁচ মাসে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেল বিডা

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে : চরমোনাই পীর

১০

৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

১১

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা

১২

বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

১৩

এখন হয় মনোনয়ন বাণিজ্য, পিআরে হবে এমপি বাণিজ্য : খোকন

১৪

ডাকসু নির্বাচন / আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

১৫

দ্বিতীয় ইরান হয়ে উঠছে ইয়েমেন, হিসাব মেলাতে পারছে না ইসরায়েল

১৬

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের

১৭

দেশে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

১৮

ভিক্ষুকের বাসায় মিলল ৩ ভরি সোনা ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা

১৯

জেলেই মারা গেলেন আসামি, কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল পুলিশ

২০
X