যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে নগরীর কাজির দেউড়ি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়াসা মোড় এলাকায় ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওয়াসার মোড়ে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে তারা বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা। এ সময় প্রায় আধঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের অন্তত ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাঈদীর গায়েবানা জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলকারীরা কাজীর দেউড়ি বাজারের পার্কিংয়ে দাঁড়ানো ম্যাক্স হাসপাতাল লিমিটেডের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তা ছাড়া আহত হয়েছেন এক বৃদ্ধ।
পথচারী ফারুক বলেন, জামায়াতের মিছিল থেকে ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক আহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার আসরের নামাজ শেষে যুদ্ধাপরাধী মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর গায়েবি জানাজা আয়োজনে পরিকল্পনা ছিল জামায়াতের। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি চেয়েছিল জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন