বগুড়ায় সড়কের পাশে একটি হাতির মরদেহ পাওয়া গেছে। হাতিটির পায়ে শিকল বাঁধা ছিল। তবে ঘটনাস্থলে হাতির মালিক বা মাহুতকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শোলাগাড়ি মোড়ে হাতির মরদেহ পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ত্রী প্রজাতির হাতিটি বান্দরবানের আজগর নামের এক ব্যক্তির। হাতিটির বয়স প্রায় ৮০ বছর। বগুড়ার নামুজা এলাকার এনামুল নামের এক ব্যক্তি হাতিটির মাহুত হিসেবে কাজ করতেন।
বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় সার্কাস, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজে হাতিটিকে ব্যবহার করা হতো। এ ছাড়া হাতিটিকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দোকান, যানবাহন ও মানুষের থেকে টাকা তুলতেন মাহুত।
হাতির মরদেহ পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রুবেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে দুপচাঁচিয়া সড়কের শোলাগাড়ি মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতির মরদেহ দেখতে পান। তাদের কাছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। পরে পুলিশ, বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় গাড়িতে করে এনে এখানে ফেলে রেখে যায় কেউ।’
সদর থানার পুলিশ জানায়, হাতিটির মালিক হিসেবে আজগর নামের একজনের নাম পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানায়, মহাস্থানগড় এলাকায় মমতাজ নামে আজগরের এক ভাতিজা বসবাস করেন। তাদের কাছে জানা গেছে, হাতিটিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলার অনুষ্ঠানে ভাড়া হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর আগে থেকেই হাতিটি অসুস্থ ছিল। সোমবার (১৪ আগস্ট) ট্রাকে করে হাতিটিকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। সম্ভবত, পথে মারা যাওয়ার কারণে রাতে শোলাগাড়ি এলাকায় হাতিটিকে নামিয়ে সংশ্লিষ্টরা চলে যান।
এ বিষয়ে সদর থানার এসআই জাহিদ হাসান বলেন, ‘হাতিটির বয়স অনেক। অসুস্থও ছিল। হাতির মাহুত ও মালিকের ভাতিজাকে ডাকা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন