মৌলভীবাজার (জুড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির সময় বন কর্মকর্তার হাতে ধরা, অতঃপর...

হবিগঞ্জে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির সময় বন কর্মকর্তার হাতে ধরা। ছবি : সংগৃহীত
হবিগঞ্জে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির সময় বন কর্মকর্তার হাতে ধরা। ছবি : সংগৃহীত

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা। হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের সামনের রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন এক ব্যক্তি। ঠিক সে সময় রাস্তা ধরেই যাচ্ছিলেন বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা। সাপ্তাহিক ছুটির ফাঁকে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পরিযায়ী জলচর পাখির জরিপে অংশ নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।

চাঁদাবাজির বিষয়টি নজরে এলে তাৎক্ষণিক সেখানে তাদের বহনকারী গাড়ি থামান জোহরা মিলা এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করা ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেন।

চাঁদাবাজি করা হাতিটি ছিল ভীষণ শীর্ণকায় ও মা হাতি। হাতিটির সঙ্গে তার অল্প বয়সী বাচ্চাও ছিল। মাহুত জানান, হাতির মালিক কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মো. সোনা মিয়া। হাতিটি লালন-পালনের লাইসেন্সও আছে।

এ সময় বন কর্মকর্তা সেই লাইসেন্স দেখতে চান। কিন্তু মাহুত সেটি দেখাতে না পারায় মালিককে ফোন করতে বলেন। একইসঙ্গে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনাটি তিনি মোবাইল ফোনে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হককে জানান এবং ঘটনাস্থলে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

খবর পেয়ে কাজী নাজমুল হক ছাড়াও ঘটনাস্থলে লাইসেন্স নিয়ে হাজির হন মালিকের ছেলে আনোয়ার হোসেন। এ সময় মোবাইল ফোনে মালিক সোনা মিয়া জানান, হাতি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। তাকে না জানিয়েই তার ছেলে আনোয়ার ও মাহুত চলে এসেছেন এবং এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড তিনি কখনো সমর্থন করেন না এবং সমস্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক বলেন, হাতিটি লালনপালনের যথাযথ লাইসেন্স ছিল। কিন্তু চাঁদাবাজির ঘটনায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে। হাতি ব্যবহার করে আর কখনো চাঁদাবাজি করবেন না, এ শর্তে মুচলেকা পাওয়ার পর হাতিটিকে মালিক সোনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা জোহরা মিলা কালবেলাকে বলেন, জোরপূর্বক বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে চাঁদাবাজি অমানবিক, অনৈতিক এবং বেআইনি। একটি বাচ্চাসহ মা হাতিকে দিয়ে এমন বেইআইনি কর্মকাণ্ড কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাছাড়া বন ও বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের বিষয় হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিভিতে আজকের যত খেলা

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

১০

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

১১

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

১২

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

১৩

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১৪

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

১৫

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১৬

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১৭

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১৮

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৯

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

২০
X