ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানিশূন্য গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খাল

পানিশূন্য গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খাল। ছবি : কালবেলা
পানিশূন্য গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খাল। ছবি : কালবেলা

পদ্মা নদীতে চর ও পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প খালে এবারও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এই মৌসুমের বোরো চাষিরা।

জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা সব খালে পানি আসার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারি শেষ হয়ে গেলেও পানির দেখা মেলেনি।

কৃষকদের দাবি, জিকে সেচখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে খরচ হয় বিঘাপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিজেলচালিত শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে চাষাবাদে খরচ ১০-১২ হাজার টাকা। বিপুল খরচের কারণে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় পৌনে ৫ লাখ একর জমি।

ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা জানান, জিকে প্রজেক্টের আওতায় ভেড়ামারার দুটি ইউনিয়ন চাঁদগ্রাম ও বাহিরচরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পড়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ধানের আবাদ ৬৩৫ হেক্টর, সরিষা আবাদ ১১৯ হেক্টর। বাদবাকি ভুট্টা, গমসহ অন্যান্য ফসল।

তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে কৃষকদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। অনেককেই বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতায় এনেছি।

ভেড়ামারার জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান কালবেলাকে জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর এই সেচ প্রকল্পের কাজ চলে। এটি মূলত পদ্মা নদীর পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ৫ দশমিক ৫ মিটার। ৪ দশমিক ৫ মিটারের নিচে সেচ কার্যক্রম সম্ভব নয়। এ ছাড়া নদীতে বড় আকারের চর পড়েছে। আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছি। পানির লেভেল যদি ঠিক থাকে এবং ড্রেজিংয়ের কাজ সুসম্পন্ন হলে, আশা করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেচ প্রকল্প শুরু করতে পারব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

হাসপাতালে ঢুকে পড়ল সাপ, অতঃপর...

উত্তপ্ত যবিপ্রবি, স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সাতক্ষীরায় বিএনপির তিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নেতাকর্মীদের আস্থায় রহমতুল্লাহ পলাশ

আশাশুনি-কালীগঞ্জে সন্ত্রাস ও দখলবাজির স্থান হবে না : কাজী আলাউদ্দিন

৩০ বছরের বিরোধ মিটিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি

তনির বিরুদ্ধে সাবেক স্বামীর এজাহার, জবাবে যা বললেন

৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক

১০

জামায়াত আমিরের সঙ্গে কসোভোর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

১১

একটানা লম্বা ছুটিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

১২

টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট / চার দিনের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন

১৩

প্রকাশিত হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি, প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১৪

হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী? যা বলছেন পুষ্টিবিদ 

১৫

ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়তে হবে : মফিকুল হাসান

১৬

‘বাউলিয়ানার নামে ভণ্ডামি ছাড়ুন’

১৭

পুরুষ বাউলদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হাসিনা সরকারের

১৮

আবুল সরকারের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করল এনসিপি

১৯

মেট্রোর অনলাইন রিচার্জে ধস, ৪ ঘণ্টায় ৭ লাখ হিট 

২০
X