জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এখন চারদিকে দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যদি সত্যি দেশকে ভালোবাসি তবে এসব কেন হচ্ছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করে মানুষকে শান্তি দিন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিঃশেষ করে গেছে। আমরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি মানবিক সমাজ চাই। আমরা চাই না শেখ হাসিনার মতো পরিণতি কোনো সরকারপ্রধানের হোক।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত আতার্তুক স্কুল মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, একদল চাঁদাবাজি করেছে, এখন আরেক দল চাঁদাবাজি করবে এজন্য তো ছাত্ররা রক্ত দেয়নি। এসব বন্ধ করুন। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামব তবুও জুলুম করতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের জন্য আমাদের নিজেরদের সুখ শান্তি পরিত্যাগ করেছি। নিজেরদের স্বাচ্ছন্দ্যকে আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ্ করে দিয়েছি। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সুখ এবং শান্তি দেখতে চাই। এতে যদি আবারও ফাঁসিতে ঝুলতে হয় তার জন্য আমরা প্রস্তুত। আরও যদি জীবন দিতে হয় দেব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু মানুষের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বিগত আমলে মানুষের ওপর জুলুম করে ২৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তারা এখন পলাতক।
জামায়াতের আমির বলেন, মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনের রাজনীতি জামায়াত করে না। গত ১৬ বছর জামায়াতের উপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের নেতৃত্বকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে। কোরআনের পাখি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিষ্ঠুরভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে আমাদের অফিসগুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। বিগত সময়ে স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা ছাড়া সকল দল নিষ্পেষিত ছিল। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছিল সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। তবুও মাথা নত করেনি। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানি এত কিছুর পরও জনগণকে জুলুম নির্যাতন থেকে দূরে রাখা যায়নি, সে চক্রান্ত সফল হয়নি। আমার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দীন মোহাম্মদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও সাবেক ফেনী জেলা আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ফেনী জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ফেনী জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনম আবদুর রহিম, দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা গাজী ছালাহ উদ্দিন, পৌর জামাতের আমির মাওলানা কামরুল আহছান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন।
মন্তব্য করুন