মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে ওয়াক্‌ফ এস্টেটের জমি দখল করে স্থাপনা

ওয়াক্‌ফ এস্টেটের জমি দখল করে স্থাপনা। ছবি : সংগৃহীত
ওয়াক্‌ফ এস্টেটের জমি দখল করে স্থাপনা। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুরে শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্‌ফ এস্টেটের ৬৮ শতক জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণসহ বাগান করে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের ধোপাকোল এলাকায় ৩০ বছর ধরে স্থানীয় জমশেদ আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন এ জমি দখলে রেখেছে। দখলদারত্ব বজায় রাখতে জমশেদ আলী ওয়াক্‌ফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির পদ পেতে মরিয়া বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এস্টেটের কমিটি সূত্রে জানা যায়, জমশেদ আলী শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্‌ফ এস্টেটের ১৯৯৬-২০২০ সাল পর্যন্ত সেক্রেটারি ছিলেন। তার ছত্রছায়ায় ধোপাকোল গ্রামের গোলাপ, মোক্তার, মোকছেদ ও আফজাল মাস্টার এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে। ২০২০ সালে এস্টেটের জমি লিজ দেওয়ার কথা উঠলে কমিটির সদস্যরা জানতে পারেন ১৪ বছর ধরে অনুমোদিত কোনো কমিটি নেই। এরপর ঢাকায় পরিচালনা কমিটির জন্য আবেদন করলে রংপুর ওয়াক্‌ফ নিরীক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশে ২০২১ সালে কমিটি অনুমোদন দেয়। বর্তমান কমিটির কার্যক্রম শুরু করলে জমশেদ আলীসহ কয়েকজন বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করে বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও জানা যায়, জমশেদ আলীর আবেদন ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন উপজেলা নেতাদের সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমিটি স্থগিত করে ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবীর টুটুলকে দায়িত্ব দেন। কমিটির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান রিট করলে ২০২৩ সালের ২৫ মে হাইকোর্ট ইউএনওর আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি বর্তমান কমিটিকে তিন বছরের জন্য বৈধতার আদেশ দেন। পরে দায়িত্ব গ্রহণ করে হাবিবুর রহমান ৬৮ শতক জমি উদ্ধারের জন্য ওয়াক্‌ফ প্রশাসক বরাবর আবেদন করলেও উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়নি।

অভিযুক্ত জমশেদ আলী বলেন, আমি সেক্রেটারি থাকাবস্থায় ২০ বছর আগে কয়েকজনকে জমিতে থাকতে দিয়েছিলাম। তারা মৌখিকভাবে অন‍্য জায়গায় জমি দিয়েছে। তবে কোনো দলিল হয়নি।

অন্য অভিযুক্ত গোলাপ, মোক্তার মোকছেদ ও আফজাল মাস্টার বলেন, মৌখিক কথাবার্তার মাধ্যমে গ্রামবাসীর সম্মতি নিয়ে বাড়ি করেছিলাম। অনেকদিন অফিসে ঘুরেছি, কিন্তু রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। জমি মৌখিকভাবে বদল দিয়ে বাড়ি করেছি। চাইলেই তো আর জায়গা ছেড়ে দেওয়া যায় না।

রংপুর জেলা ওয়াক্‌ফ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়াক্‌ফ জমি দখলে রাখার এখতিয়ার নেই। কমিটি থেকে অভিযোগ পেলে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, ওয়াক্‌ফ জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা ছিল কিন্তু দখল করার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় আনা হলো হাতির আঘাতে আহত চিকিৎসকদের

খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ক্যালিফোর্নিয়ায় দোয়া মাহফিল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, জেনে নিন কী থাকছে

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ আর আটকতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে : গোলাম পরওয়ার

ইংল্যান্ডের ১৩৬ বছরের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছেন বেথেল

দেশে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে : রিজভী

বানানীতে রাব্বি হত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‌্যাব

তরুণদের রক্তে ফিরতে পারে ত্বকের তারুণ্য

১০

গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : সালাহউদ্দিন 

১১

শরতের প্রথম দিন আজ

১২

বিপুল অস্ত্র উদ্ধার, রাজশাহীতে বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

১৩

কোনো যুদ্ধবিরতি, ‍কোনো চুক্তি হয়নি : বৈঠকের ফল ‘শূন্য’

১৪

৬৩ বছরে পা রাখতেন রক লেজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু

১৫

টাকার বিনিময়ে শেখ মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? সামনে এলো সত্য ঘটনা

১৬

যমুনায় দ্রুত বাড়ছে পানি, প্লাবিত নিম্নভূমি

১৭

শসা খেয়ে পানি খাচ্ছেন? হতে পারে যেসব বিপদ

১৮

প্রিমিয়ার লিগে যে ইতিহাস গড়লেন সালাহ

১৯

দেব-শুভশ্রী জুটি কেন জনপ্রিয়, জানেন না দেব নিজেও

২০
X