শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

খামার ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি। ছবি : কালবেলা
খামার ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি। ছবি : কালবেলা

বাংলা ভাষার মর্যাদা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। ১৯৯৯ সালে ১৭ নভেম্বর ইউনেসকোর স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালন হয়। পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ ৭৩ বছর পরও ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার। উপজেলায় ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার মধ্যে ৫টি এবং ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নেই।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেতে হয় অনেক দূরে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হরিপুরে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, যাদুরানী হাই স্কুল, আমগাঁও জামুন উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোসলেম উদ্দিনের কলেজ, কেবি কলেজ শহীদ মিনার থাকলেও উপজেলার কোনো মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই তাদের প্রতিবছর বছর ফুল নিয়ে যেতে হবে দূরবর্তী কোনো স্কুল-কলেজে। তাই নিজ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তারা আরও বলেন, ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল সাংস্কৃতিক কর্মসূচিগুলো যেন শহীদ মিনারকেন্দ্রিক হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

খোলড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। মোসলেম উদ্দীন কলেজের শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিতে হয়। আমরা সরকারের কাছে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানাই।

যাদুরানী আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী না থাকায় তাজু বলেন, আমাদের শহীদ মিনার নেই। কলেজে শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব আমাদের কাছে কমে যাচ্ছে।

খামার ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার শিক্ষক মামুনুর রশীদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় শহীদ মিনার না থাকায় ২ কিলোমিটার দূরে যাদুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ফুল দিতে হয়। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে দিবসটি পালন করা যেত।

ধীরগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব ও অহংকার। তাই ভাষা শহীদদের স্মরণে তাদের প্রতি সম্মান দেখা সকলের উচিত।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শামসুল হক বলেন, হরিপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নেই। তাদের চিঠির মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রাইমারি স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি কিছু প্রাইমারিতে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকের সরকার গঠনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

১০

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১২

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১৩

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১৪

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৫

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৭

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৮

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৯

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

২০
X