তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
৩২ বছরেও হয়নি রাস্তা

কাঁদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের

তাড়াশে কাঁদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয় থেকে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
তাড়াশে কাঁদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয় থেকে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

গ্রীম্মকালে ফসলি জমির আইল আর বর্ষা মৌসুমে সেই আইলের ধরে কাঁদা-পানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বছরের পর বছর এভাবেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থী। ৩২ বছরেও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৩০০ ফুট একটি রাস্তা করে দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাধ্য হয়ে রাস্তা ছাড়া অন্যের বাড়ি, পুকুর পাড়, ফসলি জমির আইল ধরেই যাতায়াত করছেন বছরের পর বছর।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ৩৩ শতক জমি নিয়ে দিঘরিয়া-২ রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। পরে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। এর আগে ২০০৩ সালে এলজিইডির বাস্তবায়নে ১৩ শতক জায়গার উপর একটি পাকা দ্বিতল ভবন নির্মাণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঁচ জন শিক্ষক পাঠদান করাচ্ছেন।

দিঘরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. মেরিনা খাতুন জানায়, গ্রীম্ম মৌসুমে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে জমির আইলই ভরসা।

আর আরেক শিক্ষার্থী মো. আসিফ আলী জানায়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির শুরু হলে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে খুবই কষ্ট হয়। কখনো কখনো পড়ে গিয়ে বই-খাতা ভিজে যায়।

অপর শিক্ষার্থী সানজিতা আক্তার জানায়, বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় যেতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়েই আসে না।

অবশ্য রাস্তা না থাকা প্রসঙ্গে দিঘরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, বারুহাস-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়ক থেকে বিদ্যালয়ের যাওয়ার জন্য ৩০০ ফুট রাস্তা আর নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে জমির মধ্যে পানি জমে থাকায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে। কখনো কখনো ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের পোশাক ও বই-খাতা। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে এলেও পুরো বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে।

বিদ্যালয়ে চলাচলের রাস্তা নির্মাণে অনেক চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগ করে দিঘরিয়া-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করা না হলে বাকি শিক্ষার্থীদের ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তাটি করার মতো যে জায়গা আছে। তা নিয়ে ঝামেলা আছে বলে জেনেছি। তবে আমরা দু একদিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে রাস্তার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি দিয়ে জবি ছাত্রীসংস্থার আত্মপ্রকাশ

২৮ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপী / আসিফ এপারেলসের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শহীদ আলভীর অসুস্থ পিতার পাশে আমিনুল হক

বুজতেছি না এ সরকার কি আমাদের, নাকি কাদের: ইব্রাহীম

কবি নজরুল ছিলেন মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত : ডা. ইরান

শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু মঞ্চ ও পোশাক কর্মশালা

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

১০

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

১১

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

১২

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

১৩

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

১৪

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

১৫

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

১৬

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১৭

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১৮

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১৯

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

২০
X