চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১৯৭১ ও ২০২৪-এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে : চসিক মেয়র

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে চসিক মেয়রের পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি : কালবেলা
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে চসিক মেয়রের পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি : কালবেলা

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে নগরীর পাহাড়তলীর বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো সহজ অর্জন ছিল না। ১৯৭১ সালে একটি নতুন দেশের জন্ম হয়েছিল মুক্তিকামী জনগণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। আর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন। তবে এ দুটি ঘটনার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, যা কখনোই বিতর্কিত হওয়ার সুযোগ নেই।

মেয়র আরও বলেন, ‘আজকে অনেকে ২০২৪ সালকে ১৯৭১-এর সঙ্গে তুলনা করা শুরু করেছে। ২৪ আর ৭১ এক নয়। ১৯৭১ আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় হয়েছে। আর ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যে সরকার ছিল ফ্যাসিস্ট এবং জনবিরোধী। কাজেই দুটোর মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। আমার বক্তব্য হলো, ১৯৭১-কে বিতর্কিত করা যাবে না, ২০২৪-কেও অবহেলা করা যাবে না। দেশের উন্নয়নে দুটিকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়। বিশেষ করে ঢাকায় তারা নির্বিচারে নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে। জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযান ছিল এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। তবে চট্টগ্রাম ছিল ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, সারা দেশে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালালেও চট্টগ্রামে তারা সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। এর মূল কারণ ছিল চট্টগ্রাম থেকে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ। চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনারা পূর্ব থেকেই সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রামে সহজে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদক চোরাচালান চক্রের মূলহোতাসহ ২ সহযোগী গ্রেপ্তার

বিএনপিতে কোনো ভেদাভেদ নেই : মিনু

গুগলকে কনটেন্ট সরাতে অনুরোধের সংখ্যা নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা

অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজনীতি করে বিএনপি : শিমুল বিশ্বাস

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন পরিচালনায় ১১ সদস্যের কমিটি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোনো সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : ইশরাক 

আ.লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করেছে : আমান

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে : নজরুল ইসলাম

আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

নারীসহ দুজনকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার, চাঁদা দাবি

১০

পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১১

ভূমিকম্পে ঢাকায় কোন এলাকা নিরাপদ, ‘ব্লাইন্ড ফল্ট’ কোথায়

১২

চার বছর পর ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ

১৩

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা

১৪

চাঁদপুরের বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৫

পুলিশ আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয় : শাহজাহান চৌধুরী

১৬

সমাধান ছাড়াই শেষ হলো ববি ও বিএম কলেজের আলোচনা

১৭

দেশে আর কোনো স্বৈরশাসকের জন্ম হবে না : সেলিমুজ্জামান

১৮

আটকে গেল ১৩ শিক্ষার্থীর জজ হওয়ার স্বপ্ন

১৯

যৌন হয়রানীর অভিযোগে মামলা করলেন শুটার রত্না

২০
X