

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সুলেখা আক্তার (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে নিহতের স্বামী।
নিহত সুলেখা আক্তার ওই এলাকার রব মিয়ার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী নয়পাড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার মেয়ে। আটক হওয়া রব মিয়া নারান্দী এলাকার মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে ও কাপড় ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে চার কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে সুলেখা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার রব মিয়ার বিয়ে হয়। গত ৭ বছর ধরে তাদের সংসারে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার দুপুরে স্ত্রী সুলেখা আক্তারের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে রব মিয়া। এরপর তিনি অচেতন হলে পড়লে ছুরি দিয়ে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজনসহ এলাকাবাসী গিয়ে রবকে তাকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশের পাশ থেকে রক্তামাখা ছুরিসহ তাকে আটক করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তার স্ত্রী তাকে স্বামীর অধিকার দেয়নি বলে জানিয়েছেন আটক হওয়া রব। এমনকি তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্ত্রী। এর জের ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো, যা জেরেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ছুরি দিয়ে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আসামি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন