বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ‘বাংলাদেশি’ নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে মহেশপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগোনা জেলার বাদগা থানার মধুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওবাইদুল ইসলাম (৩৬) মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।

গ্রামবাসীরা জানায়, শনিবার রাতে ওবাইদুলসহ ৭/৮ জনের একটি দল ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের মধুপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে। বিএসএফ’র হাত থেকে অন্যান্য বাংলাদেশিরা পালিয়ে আসলেও ওবাইদুল ধরা পড়ে।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ওমর আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি ওবাইদুলের বাড়িতে যান। বাড়িতে সবাই কান্নাকাটি করছেন। শনিবার রাত ১টার দিকে ওপারে গোলগুলির শব্দ শুনেছে গ্রামবাসী। এতে ধারণা করা হচ্ছে ওবাইদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

যাদবপুর ইউনিয়নের মেম্বার বাবুল হোসেন জানান, তিনিও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির সংবাদ শুনেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুল নিখোঁজ রয়েছেন। ওপারে পড়ে থাকা লাশটি ওবাইদুলের হতে পারে।

বিজিবির যাদবপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মফিজুল ইসলাম জানান, লোকমুখে তিনি এমন খবর পেয়ে সীমান্তে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে এখনও কোনো পরিবার তাদের দপ্তরে অভিযোগ করেনি।

মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকালে ভারতের মধুপর বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ফোন করে জানিয়েছে, ভারতের সীমানার মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে। সেটা বাংলাদেশি না ভারতীয় বোঝা যাচ্ছে না। ভারতের বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করে ইছামিত নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। ১৯ দিন পার হলেও তার লাশ এখনও বিএসএফ ফেরত দেয়নি। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

ওয়াসিমের ভাই মেহেদী হাসান দাবি করেন, গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়। ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ ফিরে আসলেও তার ভাই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। তাকে নির্যাতনের হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়।

জানা গেছে, বিজিবি লাশ ফেরত চাইলেও ভিসা ও আইনি জটিলতার কারণে ১৯ দিনেও লাশ ফেরত পায়নি পরিবার। ভারতীয় পুলিশ বিজিবিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে লাশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারতে গিয়ে লাশ শনাক্ত করার সক্ষমতা ওয়াসিমের পরিবারের নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১০

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১১

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১২

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৩

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

১৪

দীর্ঘ ৬ বছর পর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত

১৫

ফ্যাসিবাদের মতো তামাকও দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে : ফরিদা আখতার

১৬

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

১৭

বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ৭ দল

১৮

কনটেইনারে ছিদ্র, তেল নিতে কাড়াকাড়ি

১৯

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক 

২০
X