ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ‘বাংলাদেশি’ নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে মহেশপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগোনা জেলার বাদগা থানার মধুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওবাইদুল ইসলাম (৩৬) মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।

গ্রামবাসীরা জানায়, শনিবার রাতে ওবাইদুলসহ ৭/৮ জনের একটি দল ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের মধুপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে। বিএসএফ’র হাত থেকে অন্যান্য বাংলাদেশিরা পালিয়ে আসলেও ওবাইদুল ধরা পড়ে।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ওমর আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি ওবাইদুলের বাড়িতে যান। বাড়িতে সবাই কান্নাকাটি করছেন। শনিবার রাত ১টার দিকে ওপারে গোলগুলির শব্দ শুনেছে গ্রামবাসী। এতে ধারণা করা হচ্ছে ওবাইদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

যাদবপুর ইউনিয়নের মেম্বার বাবুল হোসেন জানান, তিনিও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির সংবাদ শুনেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুল নিখোঁজ রয়েছেন। ওপারে পড়ে থাকা লাশটি ওবাইদুলের হতে পারে।

বিজিবির যাদবপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মফিজুল ইসলাম জানান, লোকমুখে তিনি এমন খবর পেয়ে সীমান্তে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে এখনও কোনো পরিবার তাদের দপ্তরে অভিযোগ করেনি।

মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকালে ভারতের মধুপর বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ফোন করে জানিয়েছে, ভারতের সীমানার মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে। সেটা বাংলাদেশি না ভারতীয় বোঝা যাচ্ছে না। ভারতের বাগদা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করে ইছামিত নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। ১৯ দিন পার হলেও তার লাশ এখনও বিএসএফ ফেরত দেয়নি। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

ওয়াসিমের ভাই মেহেদী হাসান দাবি করেন, গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়। ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে মহেশপুরের সলেমানপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজু, শাাবুদ্দিন, মানিক ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ ফিরে আসলেও তার ভাই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। তাকে নির্যাতনের হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়।

জানা গেছে, বিজিবি লাশ ফেরত চাইলেও ভিসা ও আইনি জটিলতার কারণে ১৯ দিনেও লাশ ফেরত পায়নি পরিবার। ভারতীয় পুলিশ বিজিবিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে লাশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারতে গিয়ে লাশ শনাক্ত করার সক্ষমতা ওয়াসিমের পরিবারের নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিল্লিতে ভয়াবহ বিপর্যয়, স্কুল-কলেজে নতুন নির্দেশনা

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে চিকিৎসকের আপত্তিকর ভিডিও, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ 

কবে ঘোষণা করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি জানা গেল

‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট-২’ নামে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ৬৪

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

নায়িকা মাহির পছন্দ ভাতের সঙ্গে শুঁটকি

কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা বহিষ্কার

বাংলাদেশের কাছে হেরে ‘হাস্যকর’ যুক্তি দেখাল ভারত অধিনায়ক

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

১০

আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা 

১১

ভারতকে হারানোর পর ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা জানা গেল

১২

অলংকারে মুগ্ধ দর্শক

১৩

ডে কেয়ার সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক

১৪

টিভিতে আজকের যত খেলা

১৫

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প

১৬

কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে আহত ১৩ 

১৭

প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনায়

১৮

স্কুলে হামলা চালিয়ে ২২৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে অপহরণ

১৯

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২০
X