সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সংবিধান বানায় শাসকরা, গঠনতন্ত্র জনগণ : ফরহাদ মজহার

বক্তব্য রাখছেন  কবি, চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। ছবি : কালবেলা
বক্তব্য রাখছেন কবি, চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। ছবি : কালবেলা

কবি, চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আপনারা দলবাজ হচ্ছেন, দলের পক্ষে গুন্ডামি করে যাচ্ছেন। এটাকে তো রাজনীতি বলে না, রাজনীতি মানে দেশ সম্পর্কে চিন্তা করা। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা। রাষ্ট্র গঠন আগে তারপর সরকার। আমরা আগে ঘর বানাব তারপরে ঘরে বাস করব। এই তো কথা এটা কঠিন নাকি? যদি এটা কঠিন না লাগে, তাহলে বলেন আমরা কেন নির্বাচন নির্বাচন করব? আগে ঘরটা বানাতে হবে, গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কথা বলেন।

তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র মানে এই রাষ্ট্র গঠন করবার একটি নকশা, একটা আলোচনা, একটা সিদ্ধান্ত এটাকেই বলে গঠনতন্ত্র। তারা বলে সংবিধান। এক সংবিধান দিয়ে তারা আপনাকে আবারও শাসন এবং শোষণ করতে চায়। সংবিধান বানায় শাসকরা। আর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণ।

শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন চত্বরে জনপাঠ আয়োজিত “জুলাই অভ্যুত্থান : জন আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রগঠন” শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন করছেন তারা কী বলেন? তারা বলেন, নির্বাচন দাও আমরা ক্ষমতায় যাই, আমরা আবার চেটেপুটে লুটপাট করে খাই। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর করেছে আমরাও আবার ১৫ বছর করব।

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে রাজনৈতিক দল অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে, তবে তারা দল আকারে অংশগ্রহণ করে নাই। জনগণ আকারে অংশগ্রহণ করেছে। দল আকারে যদি করত তাহলে তো বিএনপিই এখন ক্ষমতায় থাকত। আপনারা কি চান না একটা বিকেন্দ্রীকৃত শাসনব্যবস্থা। আপনাদের ওপর কি পুলিশ সারাক্ষণ ডান্ডা ঘুরাবে?

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি রাজনৈতিক দলে দেশপ্রেমিক জনগণকে ভালোবাসে এমন মানুষ আছে। এই সব বিচক্ষণ মানুষের কাছে আমার মিনতি, আসেন আমরা যুক্তিসংগত কথা বলি যাতে এই সরকারকে একটা পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন সরকার করতে পারি এবং নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া আমরা নিতে পারি।

ফরহাদ মজহার বলেন, পৃথিবীতে কোনো বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয় নাই পাঠচক্র ছাড়া। তরুণদের এই তথ্যটা জানা দরকার, আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ আসছে। কারণ ভারত আপনার শত্রু, মিয়ানমার আপনার শত্রু। রোহিঙ্গাদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, তারা এখন কোথায় আছে, বাংলাদেশে। আপনারা গাজার কথা ভাবেন, কিন্তু আপনারা ইতোমধ্যেই গাজা হয়ে আছেন। আপনারা এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মারপিট করছেন, এখনই নির্বাচন নির্বাচন করছেন। তরুণদের কি প্রশ্ন করেছেন, এই দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের কি কি করণীয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নোয়াখালীতে যাচ্ছিল অস্ত্রের চালান, চট্টগ্রামে জব্দ

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতৃত্বে এগিয়ে আসুন : বুলবুল 

‘পলাতক মালিকদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’

টঙ্গীতে অবৈধ পার্কিংয়ের চাঁদা উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

এমন দেশ চাই যেখানে ফ্যাসিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না : ব্যারিস্টার অসীম

ফ্যাসিস্ট সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন বিসিবি সভাপতি

মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা হাসপাতালে ভর্তি

ভোলা সমিতি ঢাকার নতুন কমিটি গঠন 

সাংবাদিককে মারধরের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বিদ্যুৎ গ্রেপ্তার

জাওয়াদের সেঞ্চুরিতে বড় জয় যুবাদের

১০

বাংলাদেশ বিমানে নয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

১১

একমাস পর বাড়ি ফিরেই খুন হলেন বিএনপি কর্মী

১২

মাদককাণ্ডে নিষিদ্ধ প্রোটিয়া পেসার

১৩

আগে দেশের সংস্কার পরে নির্বাচন : চরমোনাই পীর

১৪

চাকরি ছাড়লেন সরকারি স্কুলের আরও ১২ সহকারী শিক্ষক

১৫

সোনার দামে আবারও বড় পতন

১৬

ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৩৫ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে আটক

১৭

ডোরার একক

১৮

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সবাই উচ্ছ্বসিত : মির্জা ফখরুল

১৯

চলন্ত প্রাইভেটকারে গুলি ছোড়ে হাসান দাবি পুলিশের

২০
X