টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে মো. বিজয় হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিজয় এ জালিয়াতির মাধ্যমে দপ্তিয়ার নজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন।
রোববার (০৪ মে) বিজয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি দপ্তিয়ার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, দপ্তিয়ার নজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনয়নের কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে মো. বিজয় হোসেনকে (সালিম) মনোনীত করা হয়। পরে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনয়ন সংক্রান্ত প্রক্রিয়াটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাগরপুর, টাঙ্গাইল এবং জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলের স্বাক্ষর জাল করে করা হয়েছে। এ ছাড়া সভাপতি মনোনয়ন সংক্রান্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চিঠিটিও প্রতারণা করে তৈরি করা হয়েছে।
সভাপতি মনোনয়ন করার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে, যা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা) কর্তৃপক্ষও জানে না। এ প্রতারণার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার নাগরপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- দপ্তিয়র ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বিজয় হোসেন (সালিম), দপ্তিয়ার নজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ আলমগীর হোসেন এবং অফিস সহকারী মো. ওসমান গণি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ০১ নম্বর আসামি মো. বিজয় হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
নাগরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শহিদুর রহমান মনির বলেন, মো. বিজয় হোসেন (সালিম) দপ্তিয়ার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তদন্ত সাপেক্ষে স্বাক্ষর জালের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪-এর ৫৫ বিধি অনুযায়ী ওই অফিস সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন