ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, কৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির শাসন আমল দেখেছি। নতুনভাবে তারা আসবে আর আমাদের তারা কী উপহার দেবে? এটা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবেই জেনে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, খুনি, টাকা পাচারকারীদের মৌলিকভাবে এদেশে রাজনীতি করার অধিকার কোনো যুক্তিতে নেই। তাদেরকে যখন নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আওয়াজ তুলেছি, তখন ইসলামী আন্দালোন বাংলাদেশ আমরা কিন্তু ব্যানার নিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এ খুনিদের বাতিল করার ব্যাপারে রাজপথে অবস্থান নিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, এখন কথা হলো অন্য যারা রয়েছে- তাদের কৌশল, এটা আমি ঘৃণা করি। আমি তাদের এ কৌশলকে ধিক্কার জানাই। কারণ এ দেশের হাজার হাজার মায়ের কোল সন্তান হারা হয়েছে। এখনও আমাদের কানের মধ্যে মায়ের কান্নার আওয়াজ ভাসছে। আমাদের সন্তান আমাকে মা বলে ডাকছে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, এ খুনি ও টাকা পারচাকারীদেরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে টালবাহানা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। এ জন্য তারা নাকি কৌশল করছেন- এ কৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। এখন সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। এখন আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি, তাদের শাসন আমল আমরা দেখেছি। নতুনভাবে তারা আসবে আর আমাদের তারা কী উপহার দেবে? এটা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবেই জেনে ফেলেছে। নতুনভাবে আর আমাদের দেখাবার কিছু নেই। এখন শুধু একটাই নীতি, আদর্শ রয়েছে ইসলামী আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি আর আখেরাতে মুক্তি। সেই নীতি আদর্শের নাম ইসলাম।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, মুসলমান কখনই ইসলামের নীতি আদর্শের বাইরে থাকতে পারে না। প্রতিটা মুসলমানকে ইসলামের নীতি আদর্শের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হবে। আর অন্য অন্য যারা রয়েছে সংখ্যলঘু তারা শান্তির লক্ষ্যে সেই নীতি আদর্শের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবেন। এটাই বড় বাস্তবতা।
সমাবেশে দলটির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, রাজশাহী বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবী, রাজশাহী জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।
মন্তব্য করুন