চাকরি নিয়মিত না হওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অস্থায়ী শ্রমিকরা ব্যতিক্রমী এক প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বেতন উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন ১৭৪ জন অস্থায়ী শ্রমিক। এছাড়াও কয়লাখনি গেটে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খনি শ্রমিক লিটন খাঁ। তিনি বলেন, কয়লাখনি এলাকার ২০ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আমরা। খনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত ২০১৮ সালে ৬ জুন শ্রমিক হিসেবে ১৭৪ জনকে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরে, জানলাম আমাদের চাকরিটি হয়েছে একটি সাব-কন্ট্রাক্টরের (জেএসএমই) অধীনে। এতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানাই। সেসময়কার খনির মাইনিং ব্যবস্থাপক আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, কোম্পানির সব শ্রমিক সমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পরে শ্রমিকদের নিয়মিত করণের আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি। দীর্ঘদিনেও সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে, আমরা জানতে পারি আমাদের চাকরির মেয়াদ আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি। এ খবর পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি, পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না। ১৭৪ জন শ্রমিক ওই খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত মাসের (এপ্রিল/২৫) বেতন উত্তোলন করেননি। চাকরি স্থায়ীকরণ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন খনি শ্রমিক শাহিবুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান জীবন ও মেহেদী হাসান। তারা বলেন, আমার খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা। এ খনির কারণে আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। খনির ১৪০০ ফুট মাটির নিচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন