সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৩টায় সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যের প্রখর খরতাপে পুড়ছে সিলেট। প্রচণ্ডে রোদে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারী ও দিনমজুররা। নগরীর রাস্তায় মানুষ কম দেখা যায়। যানবাহন চলাচলও কম চোখে পড়ে। প্রচণ্ড রোদের কারণে লোকজন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এদিন বিকেলে বন্দর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাহিদা বেড়েছে আখের রস, ডাবসহ তরল খাবারের। মানুষ লম্বা লাইন ধরে আখের রস ও ডাব কিনে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দামে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পথচারীদের ঠান্ডা বরফের পানি মিশ্রিত লেবুর শরবত খেতে দেখা যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসাবে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।
সিলেট আম্বরখানা এলাকার একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা তুহিদ হাসান কালবেলাকে বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বেশি গরম। দুপুরে কিছু কাজের জন্য ব্যাংকের বাইরে বের হয়েছিলাম কাজের জন্য। প্রচণ্ড রোদে কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
চৌহাট্রা পয়েন্টে কথায় হয় রিকশাচালক সোলেমানের সঙ্গে। তিনি কালবেলাকে বলেন, প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হলেও আজ বিকেল পর্যন্ত হয়েছে মাত্র তিনশ টাকা। গরমের কারণে মানুষ বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
সিলেট দরগাহ এলাকার ব্যবসায়ী তুহিন আহমদ বলেন, আজ বেশি গরম। দোকানে আসার পথে প্রচণ্ড রোদে কষ্ট পেয়েছি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কারণে কাস্টমার আসছে না, ব্যবসাও কম হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সোমবার ও আজ থেকে সিলেটে তাপপ্রবাহ অনুভব করা যাচ্ছে। বিকেল তিনটার দিকে সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
মন্তব্য করুন